রায়পুর: চাকরি থেকে ফিরে সদ্য চেয়ারে বসেছিলেন। একটু আরাম করে খুলেছিলেন বইয়ের পাতা। ততক্ষণে স্ত্রীকে রাতের খাবার দেওয়ার জন্য বলেছেন তিনি। তবে খাবার দিতে অস্বীকার করেন স্ত্রী। আর সেই সময়ই বাঁধে চরম অশান্তি। আর অশান্তি গড়ায় রক্তারক্তি কাণ্ডে (Crime News)। কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সে। অবশ্য নিজেই পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার কথা বলেন।
৩৮ বছর বয়সী যোগেন্দ্র শ্রীআভাস। ছত্তীসগঢ়ের কোরবাতে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে কম্পাউন্ডারের কাজ করে। স্ত্রী ৩২ বছর বয়সী মঞ্জিতা শ্রীআভাস। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। একজন ৮ বছর বয়সী ছেলে এবং এক ১০ বছর বয়সী মেয়ে। এই চারজনেরই সংসার। তবে পাড়া প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগেন্দ্র ও মঞ্জিতার মধ্যে মাঝে মধ্যেই ছোটো ছোটো কারণে ঝামেলা অশান্তি লেগে থাকত। তবে সেই থেকে এরকম পরিণতি হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সামান্য রাতের খাবার দেওয়া নিয়ে প্রথমে শুরু হয় অশান্তি।
কাজ থেকে ফিরে স্ত্রীকে রাতের খাবার দিতে বলে যোগেন্দ্র। আর তার ফাঁকে সে একটু বই পড়ছিল। কিন্তু খাবার দেবে না বলে জানিয়ে দেন স্ত্রী। তারপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাদের মধ্যে। রাগের মাথায় কুড়ুল দিয়ে কোপ চালিয়ে দেয় যোগেন্দ্র। মায়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে ছেলে-মেয়েরা। গিয়ে দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাদের। তারা দেখতে পায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। আর সেখানেই পড়ে কাতরাচ্ছেন মা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের এই বিষয়ে জানায় তারা। যদিও তারপর নিজেই ঘটনার কথা পুলিশে জানায় যোগেন্দ্র। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।