সিঙ্গরাউলি: স্বামীর সন্দেহ স্ত্রী তাঁকে ঠকিয়ে অন্য কারোর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্ত্রীর যৌনদ্বারই সেলাই করে দিলেন স্বামী। এ দিকে, গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ ওই ব্যক্তিক গ্রেফতার করতে এলে, স্ত্রী আবেদন জানান, তাঁর স্বামীকে যেন গ্রেফতার না করা হয়, সামান্য বকা দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়।
শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও বাস্তবেই এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh)। সিঙ্গরাউলি জেলার রাইলা গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করে তাঁর যৌনাঙ্গই সেলাই করে দেন, যাতে সে আর কারোর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারে। ওই ব্যক্তির সন্দেহ, তিনি যখন কাজে যান, সেই সময় তাঁর অবর্তমানে স্ত্রী অন্য কারোর সঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও সন্দেহ তাঁর। যদিও অভিযোগের সপক্ষে তাঁর কাছে কোনও প্রমাণই ছিল না।
কেবল মাত্র সন্দেহের বশে ও রাগেই সম্প্রতি তিনি স্ত্রীর যৌনাঙ্গ সেলাই করে দেন। কয়েক দিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে সিঙ্গরাউলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এ দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ওই মহিলার বয়ান নেওয়ার পরই তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার খবর শুনেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এ দিকে, ওই মহিলা পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার বা কঠোর কোনও শাস্তি যেন না দেওয়া হয়। তারা যেন কেবল সামান্য বকাঝকা দিয়ে তাঁর স্বামীকে বুঝিয়ে দেন যে এই ধরনের অত্যাচার যেন আর না করেন। মহিলার এই দাবি শুনে অবাক তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
চলতি বছরেও একই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল উত্তর প্রদেশে। সেখানে এক জনৈক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে অ্যালুমিনিয়ামের সুতো দিয়ে যৌনাঙ্গ সেলাই করে দিয়েছিলেন। রামপুর জেলার ওই বাসিন্দা গাড়ি চালকের কাজ করায় বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে তাদের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডাও হয়। স্ত্রীকে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে বলেন। স্ত্রী রাজি হতেই তাঁর হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গ সেলাই করে দেন।
২৪ বছরের ওই মহিলা গোটা ঘটনাটি তাঁর মাকে জানালে তিনি এসে মেয়েকে নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান এবং পুলিশের কাছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। প্রথমে পালিয়ে গেলেও সেদিন বিকেলেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘আমায় সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক, নাহলে…’ কোন কারণে দলের উপরই এত রাগলেন সিধু?