হায়দরাবাদ: দুদিন আগেই রাজ্য়ের মন্ত্রী হুমকি দিয়েছিলেন ধর্ষককে পেলেই এনকাউন্টার করে খতম করবেন। এ বার রহস্যজনকভাবেই রেললাইন থেকে উদ্ধার হল হায়দরাবাদে ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের দেহ। পুলিশের দাবি, ওই অভিযুক্তকে ধাওয়া করা হয়েছিল। পালানোর চেষ্টায় সে রেললািনে ঝাঁপ দিয়েছিল, সেই সময়ই ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ৯ সেপ্টেম্বর। হায়দরাবাদের সিনগারেনি কলোনির বাড়ি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ছয়েকের ওই নাবালিকা। সারাদিন খোঁজ না মেলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরের দিন প্রতিবেশীর বাড়ি থেকেই বিছানার চাদরে জড়ানো অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতন ও দম বন্ধ করে খুনের প্রমাণ মেলে। এরপরই ওই প্রতিবেশীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, যেদিন নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই সময় থেকেই পলাতক পাল্লাকোন্ডা রাজু নামক ওই প্রতিবেশী যুবক।
Would like to correct my tweet below. I was misinformed that he was arrested. Regret the erroneous statement
The perpetrator is absconding & @hydcitypolice has launched a massive manhunt for him
Let’s all make our best efforts to ensure he’s nabbed & brought to justice quickly https://t.co/IVz9Ri7jzn
— KTR (@KTRTRS) September 14, 2021
প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীনই শোনা যায়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পরে যখন বোঝা যায়, খবরটি ভুয়ো ছিল, তখন এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সুবিচারের দাবিতে ধর্ষকের এনকাউন্টারের দাবি জানান। এ দিকে, ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য তেলঙ্গনার মন্ত্রী কেটি রামা রাও নিজের আগের টুইটের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য সাধারণ নাগরিকদের সাহায্য চান।
পুলিশের তরফেও অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ দিকে, দুদিন আগেই তেলঙ্গনার শ্রমমন্ত্রী মল্ল রেড্ডি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওই ধর্ষক ও খুনিকে গ্রেফতার করে ফেলব। তারপর তার এনকাউন্টার করা হবে।”
#AttentionPlease : The accused of "Child Sexual Molestation and murder @ Singareni Colony, found dead on the railway track, in the limits of #StationGhanpurPoliceStation.
Declared after the verification of identification marks on deceased body. pic.twitter.com/qCPLG9dCCE— DGP TELANGANA POLICE (@TelanganaDGP) September 16, 2021
এনকাউন্টার না হলেও এ দিন সকালে ওই ধর্ষকের দেহ রেললাইনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। দেহের একাধিক ট্যাটু দেখেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের বিবৃতি ঘিরেও রহস্য তৈরি হয়েছে। ধর্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেওয়ার নামে এনকাউন্টার বিতর্কে এর আগেও হায়দরাবাদ পুলিশের নাম জড়িয়েছিল।
দুই বছর আগে ডিসেম্বরে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। এক্ষেত্রে পুলিশ যেমন সাধারণ মানুষের প্রশংসাও কুড়িয়েছিল, তেমনই সমালোচনার মুখেও পড়েছিল । ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই ধর্ষণকাণ্ডে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, ভোরের দিকে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখান থেকে তারা পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে । তখনই এনকাউন্টার করা হয়েছিল। তবে অনেকেরই দাবি ছিল গোটা ঘটনাটিই সাজানো ছিল। চিকিৎসকের নৃশংসভাবে হত্যা ও জনতার রোষেই পুলিশ ভুয়ো এনকাউন্টার করেছিল।