দলে ‘দমবন্ধ’ হয়ে আসছে কানহাইয়ার! রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতেই উসকে দিল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা
Kanhaiya Kumar Meets Rahul Gandhi: কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কানহাইয়া যদি কংগ্রেসে যোগ দেন, তবে বিহারের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
নয়া দিল্লি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েই আফজল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, গ্রেফতার হয়েছিলেন দেশদ্রোহিতার অভিযোগে। কিছুদিনের মধ্যেই সিপিআইয়ের যুবনেতা থেকে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। এ বার তিনি বামপন্থা (CPI) ছেড়ে ‘হাত’-এ হাত মেলাবেন? সম্প্রতিই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-র সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কানহাইয়া কুমার(Kanhaiya Kumar)-কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিগত দুই বছর ধরে একদিকে যেখানে একের পর এক যুবনেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন, সেখানেই কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগ দিলে, তাঁর জ্বালাময়ী বক্তৃতার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যেতে চাইছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, সিপিআই সূত্রে খবর, দলে মানিয়ে নিতে পারছেন না কানহাইয়া কুমার। সেখানে নাকি তাঁর “দমবন্ধ” হয়ে আসছে। সেই কারণেই তিনি দল বদলের চিন্তা ভাবনা করছেন।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কানহাইয়া কুমার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরই এই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়। যদিও কানহাইয়া কুমারকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য় যোগাযোগ করাই সম্ভব হচ্ছে না। কানহাইয়া দল ছাড়ছেন কিনা, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিপিআই-র সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, “আমি কেবল এই টুকুই বলতে পারি যে চলতি মাসের শুরুতেই জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কানহাইয়া কুমার। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্যও রেখেছিলেন।”
এ দিকে, কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কানহাইয়া যদি কংগ্রেসে যোগ দেন, তবে বিহারের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বিগত তিন দশক ধরে বিহারে ক্রমশই কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা কমেছে, এমনকি গত বছর বিধানসভা নির্বাচনেও আরজেডি ও সিপিআই(এমএল)-র সঙ্গে জোট বেঁধে ৭০টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। মাত্র ১৯টি আসনে জিততে পেরেছিল তারা। এক্ষেত্রে বিহারের ভূমিপুত্র, বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা কানহাইয়া কংগ্রেসের পালে হাওয়া আনতে পারে।
তবে একা কানহাইয়া কুমারই নয়, মোদী রাজ্যেও থাবা বসাতে চাইছে কংগ্রেস। গুজরাটের ভাদগামের বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনেই নির্দল প্রার্থী তথা পাতিদার সম্প্রদায়ের নেতা জিগনেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। সেই সময়ই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার জল্পনা শুরু হয়েছিল। চলতি মাসেই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেস ঘনিষ্ট সূত্রের দাবি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জায়গাই পেতে পারেন জিগনেশ। কানহাইয়া কুমার ও জিগনেশ মেওয়ানির প্রবেশে কংগ্রেস যে যুব নেতাদের হারিয়েছে, সেই শূন্য পদগুলিই পূরণ করতে পারবে দল। এই দুই নেতাই সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার জন্য জনপ্রিয়। কংগ্রেসের অন্দরেই শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার যে অভিযোগ রয়েছে, তা দূর করতেও সাহায্য করতে পারে কানহাইয়া কুমার ও জিগনেশ মেওয়ানি। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসেই সুস্মিতা দেব, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও জীতীন প্রসাদের মতো আস্থাভাজন যুব মুখ কংগ্রেস ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: লাভ হল না কলকাতায় এসেও, করোনায় প্রয়াত হলেন সিপিএমের ত্রিপুরার সম্পাদক গৌতম দাস