হায়দরাবাদ : ক্রমেই রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে নাবালিকার গণধর্ষণ। প্রথমে এই মামলায় স্থানীয় এক টিআরএস নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর এই ঘটনায় এক অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) বিধায়কের ছেলের যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ প্রথম থেকেই জানিয়েছে এই ঘটনায় কোনও বিধায়কের ছেলে জড়িত নেই। তারপরই সেদিনের ঘটনার একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ও কিছু ছবি প্রকাশ করেন তেলঙ্গনার বিজেপি বিধায়ক রঘুনন্দন রাও। তিনি দাবি করেন, মিম বিধায়কের ছেলে ঘটনায় জড়িত। তারপরই বিরোধীরা তাঁর সমালোচনায় সরব হন। এবার নির্যাতিতার পরিচয় ও ছবি প্রকাশ্যে আনার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল।
হায়দরাবাদের আবিদস পুলিশ স্টেশনে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এফআইআর-এ লেখা ছিল, ‘হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনায়… তিনি (বিজেপি বিধায়ক) ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যাতে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। এবং যেখানে তদন্ত চলছে সেই সময় তাঁর এই পদক্ষেপে মনে হয় তিনি বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করছেন ও নির্যাতিতার চরিত্র হরণ করছেন।’
গত ৪ জুন বিজেপি বিধায়ক মিডিয়ার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ও কিছু ছবি শেয়ার করেন। এই ভিডিয়ো প্রকাশ করে তিনি দেখাতে চান, জুবিলি হিলসের গণধর্ষণের ঘটনায় মিম বিধায়কের ছেলেও জড়িত রয়েছে। তিনি বলেছেন যে, নির্যাতিতার মুখ ও পরিচয় প্রকাশ না করেই পুলিশ ও জনসাধারণের সামনে বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিয়েছেন। যদিও সেই ভিডিয়ো ও ছবিতে অভিযুক্তদের মুখ পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে। তিনি পুলিশের দিকে প্রশ্নও তোলেন কেন অভিযুক্তদের মধ্য়ে মিম বিধায়কের ছেলের নাম নেই পুলিশের তালিকায়। বিজেপি বিধায়কের এহেন পদক্ষেপে তেলঙ্গনার কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ বিজেপি নেতা রঘুনন্দন রাওকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এদিকে উল্লেখ্য, এই গণধর্ষণের ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।