হায়দরাবাদ: বিজেপির তিন ব্যক্তি তাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চার টিআরএস বিধায়ক। আর এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে উপনির্বাচন। এই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তেলঙ্গানার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পারমিন্দর রেড্ডি। আবেদনে, টিআরএস বিধায়কদের অভিযোহ নস্যাৎ করে, এই মামলার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে স্থানান্তর করার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার রাতে, হায়দরাবাদের কাছে আজিজ নগরের একটি খামারবাড়িতে হানা দিয়েছিল সাইবারাবাদ থানার পুলিশ। টিআরএস বিধায়ক পাইলট রোহিত রেড্ডির অভিযোগের ভিত্তিতে, হায়দরাবাদের বাসিন্দা নন্দ কুমার, দিল্লির রামচন্দ্র ভারতী ওরফে সতীশ শর্মা এবং তিরুপতির সিমহায়াজি স্বামী নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চার টিআরএস বিধায়ককে মোটা অঙ্কের অর্থ, সম্মানজনক সরকারি চাকরি এবং ব্যবসায়িক চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ‘ক্রয়ের’ চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘুষ দেওয়া, অপরাধীমূলক ভীতি প্রদর্শনের মতো অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগকারীর মতে, বিজেপি সদস্য রামচন্দ্র ভারতী এবং নন্দ কুমার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের টিআরএস-এর প্রার্থী না হওয়ার এবং দল থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উপরন্তু, উচ্চ-স্তরের কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি এবং নাগরিক কাজের চুক্তির কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপি অবশ্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ওই খামারবাড়ির ঘটনা আসলে টিআরএস-এর সাজানো নাটক। হাইকোর্টে দাখিল করা আবেদনে বিজেপি আরও বলেছে, মনিবাদ থানায় নথিভুক্ত এই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা উচিত। যাতে তদন্তটি অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং ন্যায়বিচার পাওয়া যায়।