নয়া দিল্লি : আগামী এক বছর কংগ্রেসের রাশ থাকবে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) হাতেই। শনিবার কংগ্রেসের কর্মসমিতির (Working committee) বৈঠকে এ কথাই জানালেন কংগ্রেস নেত্রী। ২০১৯-এ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের একাংশ চাইছিল যাতে দ্রুত স্থায়ী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট (Congress President) নির্বাচন করা হয়। সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিও দেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ (Gulam Nabi Azad)। এরপরই আজ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেন সোনিয়া।
এই বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়া গান্ধী বলেন, আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি জি-২৩ নেতাদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।’ দরকার হলে তাঁর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা যেতে পারে। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। ততদিন পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সোনিয়া গান্ধী। এখনই দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে মত নেই অনেক কংগ্রেস নেতার। তাঁরা মনে করছেন, ২০২২-এ পঞ্জাব, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ ও গোয়ায় যে বিধানসভা নির্বাচনে রয়েছে, সে দিকেই আপাতত মনোনিবেশ করা উচিত কংগ্রেসের। এ দিন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভাপতি।’ কৃষক আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতাদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলের সবথেকে বেশি প্রয়োজন আত্মসংযম ও শৃঙ্খলা।’
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধেই সরব হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাকে। জি-২৩ বা ওই ২৩ জন নেতাদেরও এ দিন পরোক্ষভাবে কড়া বার্তা দেন সোনিয়া। ২৩ জন নেতার মধ্যে রয়েছেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবী আজাদের মতো বর্য়ীয়ান নেতারা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন তাঁরা। দলের অন্দরের সেই কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে এ দিন সরব হন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই দলের অন্দরে খোলাখুলিভাবে কথা বলায় বিশ্বাসী। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।’ পাশাপাশি কংগ্রেস হাইকমান্ড কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা সংবাদমাধ্যমের কাছে যেন প্রকাশ না করা হয়, সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করেছেন জি-২৩ নেতাদের।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। বিক্ষুব্ধ জি ২৩ নেতাদের নির্দেশেই তিনি এই দাবি প্রকাশ্যে তুলেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এরপরই আজাদ চিঠি লেখেন সোনিয়াকে। এ দিনের বৈঠকে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না, সে দিকেও নজর থাকবে। চলতি বছরের মে-জুন মাসের মধ্যেই কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে তা স্থগিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Rape at AIIMS: এইমস ক্যাম্পাসের মধ্যেই ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চিকিৎসককে, বেপাত্তা অভিযুক্ত ডাক্তার