নয়া দিল্লি: জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন। বিজেপির (BJP) সমর্থনে সিংহভাগ শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। দল নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই এবার দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। পিটিশনে বালাসাহেব ঠাকরে পুত্রের দাবি, আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন শিবসেনা নাম ও তার প্রতীককে ফ্রিজ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ৮ অক্টোবর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বিরোধিতা করেই আদালতে পিটিশন দাখিল করছেন উদ্ধবের আইনজীবী।
বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে উদ্ধবের আইনজীবী জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রতীকের যাবতীয় মাপকাঠি বিশ্লেষণ না করে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। উদ্ধবের ব্যক্তিগত বক্তব্য আদালতে তুলে ধরেছেন তাঁর আইনজীবী। উদ্ধবের আইনজীবী আদালতে বলেন, “আমি দলের সভাপতি এবং ৩০ বিগত বছর ধরে আমি এই দল সামলেছি। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের বক্তব্য সন্তুষ্ট নাও হয়, তবেও তারা এভাবে দলীয় প্রতীক ফ্রিজ করতে পারে না।” বিচারপতি নারুলা জানিয়েছেন, আবেদনকারীর নিজের বক্তব্য পেশ করার অধিকার রয়েছে, কারণ এখনও অবধি কোনও রায় দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ পাশ করেছে। উদ্ধবের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং তা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিবসেনা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে।
মুখ্যমন্ত্রী গদিতে বসার পর দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন শিবসেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কমিশন জানিয়েছিল আন্ধেরি পূর্ব নির্বাচনে দু’পক্ষ এক নাম ও দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এটা নির্বাচন কমিশনের অন্তবর্তী নির্দেশ। তবে এই নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, জুন মাসের শেষ দিকে সিংহভাগ শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন একনাথ শিন্ডে। জুলাই মাসে বিজেপির সমর্থনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। দলের রাশ নিয়ে জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার।