নয়াদিল্লি: ২০১৪ সাল থেকে হরিয়ানায় ক্ষমতায় বিজেপি। এবার কী হবে? বুথফেরত সমীক্ষা সামনে আসার পর থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হরিয়ানায় ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই সাফল্যের পর হরিয়ানার ভোটারদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিয়ানার উন্নয়নে বিজেপি সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৪ সাল থেকে হরিয়ানায় ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে সরকার গঠন করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এবার কী হবে? বুথফেরত সমীক্ষা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন ভোট গণনার শুরুতে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বিজেপি। শেষপর্যন্ত হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ৪৮টি আসন। আর কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সরকার গড়তে দরকার ৪৬টি আসন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে হরিয়ানায় ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি।
ফল ঘোষণার পরই হরিয়ানার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, “এটা বিকাশ ও সুশাসনের রাজনীতির জয়।” হরিয়ানার উন্নয়নে বিজেপি সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে এই জয়ের জন্য বিজেপির কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, দলের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এই জয় এসেছে। এদিন হরিয়ানায় জয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভাল ফলের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে মোদীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, হরিয়ানার মানুষ কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশবিরোধী রাজনীতি তাঁরা মেনে নেবেন না।
হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের ভাল কাজের জন্য মানুষ আবার পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়েছেন বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রে মোদীজিকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনা। কিংবা হরিয়ানা, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে বারবার বিজেপি সরকার গঠন। এটা প্রমাণ করে মানুষ রাজনীতির পারফরম্যান্সে আস্থা রাখছে।”