নয়া দিল্লি: করোনার (Covid 19) হাত থেকে বাঁচতে যাবতীয় নিয়মনীতি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণও (Covid Vaccination) গুরুত্বপূর্ণ, ভাইরাসের আগমণের পর থেকে সকলেই এই বিষয়ে অবগত। টিকার দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও বেশ কিছু দেশে টিকার বুস্টার ডোজ়ও (Booster Dose) দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের দেশেও টিকার বুস্টার ডোজ় নিয়ে আলোচনার মাঝে মুখ খুললেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (Indian Council of Medical Research) প্রধান ডাঃ বলরাম ভার্গভ (Dr Balram Bhargava)। তিনি জানিয়েছেন, এখনও অবধি এমন কোনও বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ মেলেনি যার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে বুস্টার ডোজ় আবশ্যক। ভার্গভ বলেন, “দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের করোনা টিকা দেওয়া এবং বিশ্বব্যাপি টিকা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সকলের টিকার বন্দোবস্ত করাই এখন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভার্গভ জানিয়েছেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বুস্টার ডোজ় আবশ্যক, এই সংক্রান্ত কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও মেলেনি।” জানা গিয়েছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে করোনা টিকা বুস্টার ডোজ় এবং শিশুদের টিকাকরণ চালু করার বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের টিকাকরণ সংক্রান্ত সরকারের সর্বোচ্চ সংস্থা ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভিসরি গ্রুপ অন ইমুইনাইজেশন (National Technical Advisory Group on Immunization )। সেই বৈঠকের ঠিক আগেই আইসিএমআরের সর্বোচ্চ কর্তার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সাম্প্রতিককালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) সহ অনেকেই বুস্টার ডোজ় শুরু করার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানিয়েছিলেন, “এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যখন আইসিএমআর জানাবে যে বুস্টার ডোজ় দেওয়া প্রয়োজন, একমাত্র তখন এই নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। এখন সরকারের একমাত্র লক্ষ্য উপযুক্ত সকল জনসংখ্যাকে করোনা টিকার দুটি ডোজ় দিয়ে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে টিকা মজুত আছে।”
সরকারি পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ ৯৪ কোটি ভারতীয় টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন এবং ৪৩ শতাংশ দুটি ডোজ়ই পেয়ে গিয়েছেন। এই অতিমারিকে হারানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হয় এবং এখনও অবধি মোট ১১৭ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।