নয়া দিল্লি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রুপ বদলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস (COVID-19)। ডেল্টার পর ডেল্টা প্লাস ভ্য়ারিয়েন্ট (Delta Plus Variant)-রও খোঁজ মিলেছে ভারতে। করোনার এই নিত্য নতুন রুপ থেকে দেশীয় ভ্যাকসিনগুলি কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে সুখবর শোনাল আইসিএমআর (ICMR)। সম্প্রতি তাদের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকরী।
তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরই ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) জানিয়েছিল, উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর ক্ষেত্রে ৭৭.৮ শতাংশ ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে কোভ্যাক্সিন। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে ৬৩.৬ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন।
উপসর্গযুক্ত যে সমস্ত রোগীরা গুরুতর অসুস্থ, তাদের ক্ষেত্রেও ৯৩.৪ শতাংশ কার্যক্ষমতা দেখিয়েছে সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তুলনামূলকভাবে কম বলেই জানানো হয়েছিল। কেবলমাত্র ০.০৫ শতাংশের মধ্যে গুরুতর কোনও সমস্যা এবং ১২ শতাংশের মধ্যে অতি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।
আইসিএমআর ও পুণের এনআইভি-র সহযোগিতায় তৈরি এই ভ্যাকসিন ডেল্টার পাশাপাশি এ বার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট রুখতেও সক্ষম বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। যদিও কত শতাংশ কার্যকর এই ভ্যাকসিন, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্যদিকে, জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য গত ৯ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য় আবেদনপত্র জমা দিয়েছে ভারত বায়োটেক। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারই রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যেই এই অনুমোদন মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসেই রক্তগঙ্গা বইতে দেওয়ার ছক, ৮টি রাস্তা ধরে উপত্যকায় হামলা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা!