নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে কোভিশিল্ড(Covishield) অনেকাংশেই সফল হলেও করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টার বিরুদ্ধে কি আদৌই কার্যকর সেরাম সংস্থার টিকা, তা জানতেই সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষণার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় নিয়েও ১৬.১ শতাংশের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Variant)-কে প্রশমন করার জন্য অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হয়নি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর(ICMR)-র করা এই গবেষণা এখনও পর্যালোচিত না হলেও গবেষণার ফল নিয়ে বেশ উদ্বেগে বিজ্ঞানী-গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও ১৬.১ শতাংশের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। যারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশের দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে। তবে বাকি ৮৩.৯ শতাংশের দেহেই স্বল্প মাত্রায় হলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে।
তবে এখনই গবেষণার ফল নিয়ে আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন ভেলোরের খ্রিস্টান কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডঃ টি জেকব জন। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, “গবেষণায় ধরা না পড়ার অর্থ এই নয় যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। হয়তো দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ এতটাই কম যে তা গবেষণায় ধরা পড়েনি। তার অর্থ এই নয় যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ এই ভ্যাকসিন। ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে কো-মর্ডিবিটি অর্থাৎ মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের সমস্যা থাকায় তুলনামূলকভাবে কম তৈরি হয় অ্যান্টিবডি।”
আইসিএমআরের গবেষণায় দাবি, বি১ ভ্যারিয়েন্ট, যা দেশে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ এনেছিল, তা রুখতে অধিক সক্ষম কোভিশিল্ড। তুলনামূলকভাবে ভারতে প্রথম খোঁজ মেলা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপর ভ্য়াকসিনের কার্যকারিতা অনেকটা কম। তবে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ই নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি।
আরও পড়ুন: অখণ্ড ভারতের দাবিতে ‘ভুল মানচিত্র’ পোস্ট, শপথ গ্রহণের আগেই বিতর্কে উত্তরাখণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী