কানপুর : বয়স বাড়লে হাড়ের সমস্য নতুন নয়। প্রায় প্রত্যেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। আর কোনও কারণে হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে, একটা বয়সের পর সেই ক্ষত পূরণ হওয়াও কঠিন। যে হাড়ের ওপর ভিত্তি করেই মানবশরীর দাঁড়িয়ে থাকে, সেই হাড়ের ক্ষয় হলে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও চলে যায়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এবার এক বিশেষ ওষুধ তৈরি করলেন আইআইটি-র এক গবেষক। কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। হাড়ের মধ্যে রাসায়নিক প্রবেশ করিয়ে দিলেই সেরে যাবে ক্ষত। নতুন করে তৈরি হবে হাড়। এমনই এক উপায় উদ্ভাবন করলেন কানপুর আইআইটি-র গবেষক অশোক কুমার। ইতিমধ্যেই তাঁর তৈরি সেই ওষুধ বাজারে আনতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথাও হয়ে গিয়েছে।
আসলে দু রকম রাসায়নিকের মিশ্রণ দিয়েই তৈরি হয়েছে এই ক্ষত সারানোর উপায়। ওই মিশ্রণ ইনজেকশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে প্রবেশ করাতে হবে। আর তাতে হবে ম্যাজিক! আবার তৈরি হবে হাড়, পূরণ হবে ক্ষত। আসলে হাড় তৈরি হবে না। হাড়ের মতো একটা কৃত্রিম জিনিস গঠন হবে ওই ক্ষত স্থানে। অধ্যাপক অশোক কুমার জানিয়েছেন, কৃত্রিম এই হাড় হবে স্বাভাবিক হাড়ের মতোই। ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটা বিপ্লব আনতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। গত বুধবারই এই ওষুধ বিক্রির জন্য এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তি।
অধ্যাপক অশোক কুমার জানিয়েছেন, ওই ফ্লুইড শরীরে প্রবেশ করার ১৫ মিনিটের মধ্যেই জমে শক্ত হয়ে যাবে। তবে এর ফলে রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। ফলে ক্ষত সারানোর যে স্বাভাবিক প্রবণতা শরীরের মধ্যে থাকে, তাও ব্যহত হবে না।
মূলত টিবি ও বোন ক্যান্সারের রোগীদের ক্ষেত্রে এই উদ্ভাবন উপকারী হবে বলে মনে করছেন ওই অধ্যাপক। তিনি জানান, ওই সব রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ বাদ দিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। আর ওই অংশে নতুন করে হাড় তৈরি হওয়ার কোনও আশাও থাকে না। অনেক সময় দুর্ঘটনায় আহত হলেও একই সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনও ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
আরও পড়ুন : Hooghly Suicide: ভাড়াটের মানসিক চাপেই ‘আত্মহত্যা’, রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার বাড়িওয়ালার ক্ষতবিক্ষত দেহ