Railway: কলকাতা থেকে কাশ্মীর মাত্র ২ ঘণ্টায়! IIT-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারতীয় রেল, কীভাবে কাজ করবে সেই প্রযুক্তি
Railway: বাতাসের সঙ্গে কোনও ঘর্ষণ হয় না, ফলে গতি হয় অনেক বেশি। প্রায় বিমানের গতিতে ছুটতে পারে ক্য়াপসুল।

নয়া দিল্লি: প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশ সব ল্যান্ডমার্ক পার করে যাচ্ছে। খুলে যাচ্ছে একের পর এক নতুন দিগন্ত। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে আইআইটি-র নতুন আবিষ্কার হাইপারলুপ। এটি হবে এমন একটি ট্র্য়াক, যার মাধ্যমে অত্য়ন্ত দ্রুত এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করা যাবে। মাদ্রাস আইআইটি তৈরি করছে এই হাইপারলুপ। ২০১৩ সালে প্রথম এই হাইপারলুপের ধারণা দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
কী এই হাইপারলুপ?
বন্ধ করা টিউবের মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ক্যাপসুল বা পড যেতে পারে। সেই ব্যবস্থাই হল হাইপারলুপ। এর মধ্যে দিয়ে একটি ট্রেন বা হাইপারলুপ ১১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটতে পারে। ধরা যাক কলকাতা থেকে কাশ্মীরের দূরত্ব প্রায় ২,৩৪০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ঘণ্টা দুয়েকেই ওই পথ পার হওয়া যাবে হাইপারলুপে।
বাতাসের সঙ্গে কোনও ঘর্ষণ হয় না, ফলে গতি হয় অনেক বেশি। প্রায় বিমানের গতিতে ছুটতে পারে ক্য়াপসুল। সঙ্গে উপরি পাওনা হল, আবহাওয়ার কোনও প্রভাব পড়ে না এই হাইপারলুপের ক্ষেত্রে।
ভারতে হাইপারলুপের প্রস্তুতি কেমন
আইআইটি মাদ্রাস তৈরি করছে এই হাইপারলুপ। সহযোগিতা করছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই ৪২২ মিটার লম্বা টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করে ফেলা হয়েছে। তবে আসলে পূর্ণ হাইপারলুপ সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে। টেস্ট ট্র্যাক তারই একটি অংশ মাত্র। জানা যাচ্ছে, মুম্বই-পুনে লাইনে প্রথম তৈরি করা হতে পারে এই হাইপারলুপ।
কীভাবে কাজ করবে এই হাইপারলুপ?
থাকবে ভ্যাকুয়াম টিউব। অর্থাৎ একটি টিউব থাকবে, যেটা প্রায় ভ্যাকুয়াম হবে অর্থাৎ হাওয়ার ঘর্ষণ অনুভব করা যাবে না। এছাড়া থাকবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালসান। যাত্রীদের জন্য তৈরি করা হবে নিরাপদ ও আরামদায়ক ক্যাপসুল বা পড। সবরকমের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম থাকবে ভিতরে। তবে এই হাইপারলুপ নির্মাণে খরচ অনেক বেশি।





