নয়া দিল্লি: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রবিবার থেকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে উপকূলীয় ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। বস্তুত, রেমাল আসার আগে পর্যন্ত তাপপ্রবাহে ঝলসে যাচ্ছিল বাংলাও। গত এক-দেড় মাসে মৌসম ভবন হয় শুনিয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা, না-হলে, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা। অবশেষে, শুক্রবার (২৭ মে), কিছু ভাল খবর শোনালো আবহাওয়া দফতর। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের প্রধান, মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহের মস্তানি শেষ হতে চলেছে। মুক্তিদাতা বর্ষা। আবহাওয়া বিভাগের মতে, আসন্ন বর্ষার মরসুমে, সারা দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হতে চলেছে।
মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, “দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে, এবার, সারা দেশে দীর্ঘ সময়ের গড় বৃষ্টিপাতের ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে। তাই, সামগ্রিকভাবে আসন্ন বর্ষায় দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।” আবহাওয়া বিভাগের প্রধান আরও জানিয়েছেন, অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবহাওয়ার ‘লা নিনা’ অবস্থা দেখা দিতে পারে। এই আবহাওয়া অবস্থাটি বর্ষার অনুকূল। তাই, আগেই এই বছর স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে, পূর্বাভাস ছিল। ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৩০ মে থেকেই ভারত জুড়ে তাপপ্রবাহ কমে যাবে। তবে, আগামী তিন দিন উত্তর-পশ্চিম ভারতের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। এর আগেই দিল্লি এবং রাজস্থানের জন্য সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অফিস। এই দুই জায়গার কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং মধ্য ভারতের বেশ কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়নি। সেই সঙ্গে, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান এবং গুজরাটের উপর একটি ঘূর্ণিঝড়-রোধী বায়ু সঞ্চালনের জেরে এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী শুষ্ক এবং উষ্ণ বাতাস তৈরি হয়েছে। এই দুই কারণেই এই ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকের রেমালের প্রভাবে, বাংলায় সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারতেওএ ঘূর্ণীঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।