Weird Marriage: ৩০ বছর আগে মৃত বর-কনে, গত রাতে বাঁধলেন গাঁটছড়া! এরই নাম ‘প্রেত কল্যানম’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 29, 2022 | 7:48 PM

Dakshina Kannada Pret Kalyanam: বর এবং কনে দুজনেই ৩০ বছর আগে মৃত। 'ভূতের বিয়ে' আবার হয় না কি? এ কোনও গল্পকথা নয়।

Weird Marriage: ৩০ বছর আগে মৃত বর-কনে, গত রাতে বাঁধলেন গাঁটছড়া! এরই নাম প্রেত কল্যানম
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বেঙ্গালুরু: বর এবং কনে দুজনেই মৃত। মৃত্যুর ৩০ বছর পর গাঁটছড়া বাঁধলেন তাঁরা। যাঁরা এই কাহিনি পড়ার জন্য ক্লিক করেছেন, ভাবতেই পারেন এই কোনও গল্পকথা। ‘ভূতের বিয়ে’ আবার হয় না কি? কিন্তু না, এ কোনও গল্পকথা নয়। কেরল এবং কর্ণাটকের বেশ কিছু আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ঐতিহ্য এখনও বজায় রয়েছে। এই প্রথাকে বলা হয় ‘প্রেত কল্যাণম’। সম্প্রতি ইউটিউবার অ্যানি অরুণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশেষ বিয়ে সম্পর্কে জানিয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী এই ‘প্রেত কল্যাণম’ –

অ্যানি অরুণ জানিয়েছেন, গত ২৮ জুলাই তিনি এক বিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। পাত্র চাঁদাপ্পা এবং পাত্রী শোভা – দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ বছর আগে। এই প্রথা বাকি ভারতের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু ‘প্রেত কল্যানম’ কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নর জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। এই এলাকায় যে ছেলে-মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়, তাদের মৃত্যুর কয়েক বছর পর বিবাহ দেওয়া হয়। তবে কোনও জীবন্ত ব্যক্তির সঙ্গে নয়। আরেক ১৮ বছরের নিচে মৃত্যু হওয়া ছেলে বা মেয়ের সঙ্গেই ওই মৃত ব্যক্তির বিবাহ দেওয়া হয়।


কেন এই প্রথা? জানা গিয়েছে, এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন, বিবাহেই জীবনের পূর্ণতা। যাঁদের বিবাহ হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়, তাদের আত্মা ‘মোক্ষলাভ’ করতে পারে না। সেই অতৃপ্ত আত্মা পরিবারের মধ্যেই ঘুরে ফিরে বেড়ায় এবং তা থেকে সমস্যার মুখে পড়তে পারে পরিবার। বিবাহ দিলে এই সমস্যা দূর হয়। এই কারণেই মৃত পাত্র-পাত্রীর বিবাহ দেওয়া হয়।


মৃত পাত্র-পাত্রীর বিয়ে বলে, বিবাহের অনুষ্ঠানে আয়োজন কিছু কম হয় না। আর পাঁচটি স্বাভাবিক বিয়ের মতোই সব রীতিনীতি পালন করা হয়। বাগদানের জন্য দুটি পরিবার একে অপরের বাড়িতে যায়। বর-কনে দেখা হয়। এমনকি, অন্যান্য বিয়ের মতো এই বিয়েতেও পাত্র-পাত্রী পছন্দ করার বিষয় থাকে। অরুণ জানিয়েছেন, কনের বয়স বেশি বলে পাত্রপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে, এমনও দেখা যায়। পাত্রপক্ষ কনেকে শাড়ি দিয়ে আসে, যা কনে বিয়ের সময় বা লগ্নের সময় পরে। বরকে নিয়ে উৎসব করতে করতে কনের বাড়িতে আসেন বরযাত্রীরা। সাতপাক ঘোরা, লগ্ন, কন্যাদান এবং মঙ্গলসূত্র বাঁধা – বিয়ের সমস্ত ঐতিহ্য পালন করা হয়। আর খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও খামতি রাখা হয় না।

Next Article