New Delhi Station Stampede: মাত্র ১৫ মিনিট, তাতেই সব শেষ! ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কী হল যে প্রাণ খোয়াতে হল ১৮ জনকে?
Stampede Reason: প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য নয়াদিল্লির ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর কথা ছিল। ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও কুম্ভগামী ভুবনেশ্বরের একটি ট্রেন আসার কথা ছিল। এদিকে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আবার আসছিল সেনানী এক্সপ্রেস। সেটিও কুম্ভেই যাচ্ছিল, কিন্তু লেট চলছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভগামী ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে স্পেশাল ট্রেন ঘোষণা হতেই যাত্রীদের ভিড় নিমেষে বেড়ে যায়। ট্রেন ধরার জন্য ছোটাছুটি শুরু হতেই ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে যান কয়েকজন যাত্রী। তাদের মাড়িয়েই দৌড় লাগান বাকি যাত্রীরা। এতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পদপিষ্ট হওয়ার খবর পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশের রেলওয়ে ইউনিট প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। ফায়ার ব্রিগেডকে ডাকা হয় রেলস্টেশনে।
তথ্য অনুযায়ী, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য নয়াদিল্লির ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর কথা ছিল। ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও কুম্ভগামী ভুবনেশ্বরের একটি ট্রেন আসার কথা ছিল। এদিকে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আবার আসছিল সেনানী এক্সপ্রেস। সেটিও কুম্ভেই যাচ্ছিল, কিন্তু লেট চলছিল।
রাত ৯টা নাগাদ ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আগে থেকেই ভিড় ছিল। ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার ঘোষণা হতেই দুটি ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ওভারব্রিজে দৌড়াদৌড়ি শুরু হতেই বিপত্তি ঘটে। ট্রেন ঢুকতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং ভিড়ের চাপে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে পুলিশ প্রথমে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করলেও কিছুক্ষণ পরে, এলএনজেপির জরুরি বিভাগের প্রধান ঋতু সাক্সেনার একটি বিবৃতি আসে, যেখানে তিনি ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত কর হয়। এরপর রেলের তরফেও জানানো হয় যে পদপিষ্ট হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাতে সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়।
এই বিষয়ে রেলওয়ের ডিসিপি কেপিএস মালহোত্রা বলেন, “দুটো ট্রেন আসতে দেরি হয়েছিল। তার জেরে যাত্রীদের বিপুল ভিড় হয়। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই ব্যাপক ভিড় হয়ে গিয়েছিল। স্পেশাল ট্রেন ঘোষণা হতেই সকলে ওই ট্রেন ধরার জন্য ছোটেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”





