নয়া দিল্লি : দেশে ক্রমশ বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে মাঙ্কিপক্সে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন কেরলের এক বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই সকলের মনেই প্রশ্ন জেগেছে করোনার মতো মহামারির আকার নেবে না তো মাঙ্কিপক্স! তবে সেই সম্ভাবনা রোধ করতে এখন থেকেই টিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (SII)-র সিইও আদর পুনাওয়ালা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই রোগের বিরুদ্ধে টিকা তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এদিন এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে আদর পুনাওয়ালার বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ভালই হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও বলেছেন,’টিকা তৈরির সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমি মন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। মাঙ্কিপক্সের টিকা নিয়ে এবং সেই টিকার দরকার পড়বে কি না তা নিয়ে আমরা গবেষণা করছি।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত একমাত্র টিকা হল ড্য়ানিশ সংস্থার তৈরি স্মল পক্সের টিকা। বিশ্বের দুটি জায়গাই বর্তমানে সেই টিকা উপলভ্য। জর্জিয়ার আটলান্টায় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ল্যাব এবং রাশিয়ার কলটসোভোতে জর্জিয়া অ্য়ান্ড স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্য়ান্ড বায়োটেকনোজলিতে এই টিকা রয়েছে।
After meeting with Union Health Min Mansukh Mandaviya, SII CEO Adar Poonawalla said, “my meeting went well like always. All preparations for the vaccine are being done; I briefed the minister on this. We are researching on the vaccine for Monkeypox & if there’s a need for it.” pic.twitter.com/r8L9VxuKK4
— ANI (@ANI) August 2, 2022
প্রসঙ্গত, দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে। মঙ্গলবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে মাঙ্কিপক্সে তৃতীয় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর বিদেশ সফরের কোনও ইতিহাস নেই বলেই জানা গিয়েছে। এই নিয়ে দেশে মোট ৮ জনের দেহে মাঙ্কিপক্সের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ৫ জনই কেরলের বাসিন্দা। এদিকে গত সপ্তাহেই কেরলে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোগ নির্ণয় ও টিকাকরণের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।