India-Pakistan: কার ট্যাঁকে কত জোর! তিরিশ বছর ধরে ‘ক্ষমতা দেখাতে’ পয়লা তারিখেই এই রীতি পালন করে ভারত-পাক

India-Pakistan: ১৯৮৮ সালে নিজেদের মধ্যে পুনরায় যাতে যুদ্ধের আবহ না তৈরি হয় সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই একটি চুক্তি সাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান।

India-Pakistan: কার ট্যাঁকে কত জোর! তিরিশ বছর ধরে 'ক্ষমতা দেখাতে' পয়লা তারিখেই এই রীতি পালন করে ভারত-পাক
Image Credit source: Narayan Maharjan/NurPhoto via Getty Images | Nasir Kachroo/NurPhoto via Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2025 | 3:05 PM

নয়াদিল্লি: কার ট্যাঁকে কত জোর? নিজেদের মধ্যে তথ্য লেনদেন করে সমঝোতা করে নিল ভারত-পাকিস্তান। প্রতি বছরের ন্যয়, এই বছরও বুধবার, একেবারে বছরের প্রথম দিনেই চুক্তি মোতাবেক নিজেদের পারমাণবিক ক্ষমতার হিসাবটা বুঝে নিল ভারত-পাকিস্তান।

ঘটনাটা ঠিক কী?

১৯৮৮ সালে নিজেদের মধ্যে পুনরায় যাতে যুদ্ধের আবহ না তৈরি হয় সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই একটি চুক্তি সাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। ৮৮ সালে সাক্ষরিত হয় চুক্তি। ১৯৯১ সালে শুরু হয় চুক্তিপত্রের নিয়ম পালন।

কী ছিল এই চুক্তিতে?

যুদ্ধের বিধ্বংসী রূপ ততদিনে একাধিকবার দেখে ফেলেছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই সময় আবার শঙ্কা তৈরি করছিল পারমাণবিক যুদ্ধ। কিন্তু দুই পড়শি দেশের মধ্যে যদি পারমাণবিক যুদ্ধ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেই ধারণা আগে থেকে ছিল এই দুই দেশের। ফলত, এটা রোখার জন্যই নিতে হত কোনও পদক্ষেপ। তাই নিজেদের মধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হল ভারত পাকিস্তান।

দুই দেশ কতটা পারমাণবিক ক্ষমতাশালী, তা প্রতিবছর নিজেদের মধ্যে তথ্যে লেনদেন ঘটিয়ে স্বীকার নেয় ভারত ও পাকিস্তান। দেশে কোনও পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার হচ্ছে কি না কিংবা কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে? প্রতিরক্ষা তহবিলেই কতটা পরমাণু রয়েছে সব তথ্য তুলে ধরা হয় এই পত্রে।

গতকাল কূটনৈতিক রীতিনীতি মেনে নিজেদের মধ্যে সেই তালিকার আদানপ্রদান ঘটাল নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘১৯৮৮ সালের চুক্তি মেনে গত তিন দশকের মতোই ফের ভারত-পাকিস্তান নিজেদের পরমাণু তহবিলের তথ্য আদানপ্রদান করল।’

বলা বাহুল্য, এই চুক্তি কিন্তু সাক্ষর হয়েছিল কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা সংঘাতকে রুখতে। গত তিন দশক ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের রাজনীতি মাঝে মধ্যে উত্তাল হয়ে উঠলেও, খাতায় কলমে প্রতিবছর পয়লা জানুয়ারি নিজেদের পরমাণ ভান্ডারের তথ্য লেনদেন করে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ।