নয়া দিল্লি: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আরও মজবুত হচ্ছে ভারতের সম্পর্ক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফের চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা। বিগত কয়েক বছর আগেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেল পরিষেবা (India Bangladesh Train Service ) চালু হয়েছিল। কিন্তু করোনাকালে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাত্রী সুরক্ষার খাতিরেই। সংক্রমণ কমতেই ফের একবার চালু হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে রেল পরিষেবা। এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। আগামী ২৯ মে থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই সতর্কতাবশে দুই দেশের মধ্যে রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে ঢাকা অবধি যে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল, তা এতদিন স্থগিত ছিল। রেলওয়ে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করা হবে। এছাড়া কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসও আগামী ২৯ মে থেকে চালু হচ্ছে।
১ জুন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালি এক্সপ্রেস চালু হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী রেল ভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই ট্রেন পরিষেবা পুনরায় সূচনা করবেন। একদিকে যেমন ঢাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হবে, তেমনই আবার কলকাতা থেকে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হবে। এই ট্রেন পরিষেবা সূচনার উপলক্ষে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী ভারতে আসতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
গত বছরই বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন, “শিলিগুড়ি ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে। দ্রুত এই ট্রেন পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি অবধি নতুন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে যাত্রীদের আরও সুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব জানান, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এই রুট তৈরি হলে পণ্য পরিবহণে একাধিক নতুন সুযোগ তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে ফ্রেট ট্রেন হিসাবে এই পরিষেবা চালু হলেও আগামিদিনে শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা অবধি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।