নয়া দিল্লি: দেশে করোনা (COVID) পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েকদিন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় করোনা রোখার জন্য ‘টিকা উৎসবের’ মাধ্যমে টিকাকরণে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার করোনার বাড়তি সংক্রমণের পরিস্থিত মাথায় রেখে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসেভির রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার।
যতদিন পর্যন্ত না করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততদিন রেমডেসেভির রফতানি করবে না ভারত। বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এপ্রিলের ১১ তারিখ অনুযায়ী, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। যার ফলে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসেভিরের চাহিদা বেড়েছে। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেমডেসেভির এখন রফতানি করবে না ভারত।
আমেরিকার জিলিড সায়েন্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৭টি ভারতীয় কোম্পানি রেমডেসেভির তৈরি করে। যার ফলে একমাসে প্রায় ৩৮ লক্ষ ৮০ হাজার রেমডেসেভির উৎপাদিত হয়। এই ওষুধের কালোবাজারি বন্ধ করতে স্টক যাচাই করার কাজ শুরু করেছে ওষুধ দফতর। করোনা রুখতে প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে একাধিক বিষয়ে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যেক রাজ্যকে ৭০ শতাংশ আরটি-পিসিআর করোনা পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন নমো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটাই ভাইরাস চিহ্নিত করার একমাত্র উপায়।” যেহেতু এখন বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তরাই অ্যাসিম্পটমেটিক অর্থাৎ উপসর্গহীন তাই করোনা পরীক্ষা দ্রুত এবং করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে জোরকদমে টিকাকরণ হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আরও দ্রুত টিকাকরণের জন্য ‘টিকা উৎসব’ পালন করার আর্জি জানান। সেই মতো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ‘টিকা উৎসব।’ এ ছাড়া করোনা কার্ফু ও পরিচ্ছনতায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন নমো।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ৫২ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৯০০-র কাছাকাছি