নয়া দিল্লি: কিছুতেই মিটছে না রোহিঙ্গা সমস্যা (Rohingya Issue)। দেশের একাধিক সীমান্তবর্তী রাজ্যে রোহিঙ্গা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র দারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। জম্মুতে আটক রোহিঙ্গাদের মুক্তি ও মায়ানমারে ফেরত পাঠানোয় স্থগিতাদেশ জারির শুনানিতে শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র বলে, “বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশকারীদের রাজধানী হয়ে থাকতে পারে না ভারত।”
জম্মুতে আটক রোহিঙ্গাদের সপক্ষে হাজির আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইন ভঙ্গ করছে মায়ানমারের মিলিটারিরা। রোহিঙ্গা শিশুদের যৌন নির্যাতন, খুন করা হচ্ছে।” এর জবাবে কেন্দ্রের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “এই সমস্যা মায়ানমারের। আবেদনকারীরা চান না যে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হোক। তবে ভারত অনুপ্রবেশকারীদের রাজধানী হয়ে থাকতে পারে না। আমরা মায়ানমারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। অনুপ্রবেশকারীরা ওই দেশের নাগরিক প্রমাণিত হলেই তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।”
আরও পড়ুন: Assam Election 2021 phase 1 voting Live: অসমেও শুরু প্রথম দফার নির্বাচন, ভোট দিতে আবেদন মোদী-নাড্ডার
এদিকে, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আন্তর্জাতিক আদালতের একটি শুনানির উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বা তাঁদের সুরক্ষায় মায়ানমার কোনও সুগঠিত পদক্ষেপ করেনি। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন রোহিঙ্গা রিফিউজিদের জম্মুতে আটকে রেখেছে ও শীঘ্রই তাঁদের মায়ানমারে ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়াই বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান প্রশান্ত ভূষণ।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, “রাষ্ট্রসংঘও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। এই পরিস্থিতিতে শুনানি করা সম্ভব নয়।”
মহাম্মদ সালিমুল্লাহ নামক এক রোহিঙ্গা রিফিউজি তাঁদের জেলবন্দি অবস্থা ও মায়ানমারে ফেরত না পাঠানোর আবেদন জানিয়ে আর্জি দাখিল করেছিলেন। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মাধ্যমে দাখিল করা আর্জিপত্রে তিনি বলেছিলেন, “জম্মুর সাব জেলে বেআইনীভাবে রিফিউজিদের আটক করে রাখা হয়েছে। জম্মুর ইন্সপেক্টর জেনারেল মুকেশ সিং জানিয়েছেন যে দূতাবাসে তাদের পরিচয়পত্র যাচাই করার পরই তাঁদের মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করে আর্জিপত্রে আরও বলা হয়, “দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি ভারতে উদ্বাস্তু সুরক্ষা নিয়মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। যেখানে সুরক্ষা নেই, সেই জায়গাতেই পুনরায় ফেরত পাঠানো সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী। দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় ফেরত পাঠানোর নিয়মে কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কভাবে প্রমাণ করা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: নাইট কার্ফু জারি হল মহারাষ্ট্রে, রাত ৮টায় বন্ধ হবে শপিং মল