নয়া দিল্লি: গত মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচ আসতে শুরু করে তখন থেকে। মাঝের কয়েক মাসে অনেক ঝড় কাটিয়েছে গোটা দেশ। সংক্রমণের এমন ভয়াল রূপ প্রত্যাশিত ছিল না কারও কাছেই। দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে স্তিমিত না হলেও প্রাবল্য ক্রমশ কমছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টায় মোট সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে। গত ১৬ মার্চের পর অর্থাৎ ১৩২ দিন পর এই প্রথমবার এই সংখ্যা ৩০ হাজারের নীচে নামল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯,৬৮৯ জন। বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ১০০। প্রায় ১২৪ দিন পর সক্রিয়া বা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা নামল ৪ লক্ষর নীচে। করোনা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ শতাংশে। সোমবারের তুলনায় একধাক্কায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ১০ হাজার। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৩৬১।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছ ৪১৫ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪২ হাজার ৩৬৩ জন। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৩৮২, মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৪৬৯ জন। আইসিএমআর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ লক্ষ ২০ হাজার ১০০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া গত এক দিনে দেশ জুড়ে মোট ৬৬ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ডেল্টা নিয়ে উদ্বেগের কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ১০ জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও ডেল্টা থাবা বসাচ্ছে, এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টার ভ্যাকসিনের প্রাচীর ভেদ করার প্রবণতাও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট যে শুধু মানুষকে বেশি অসুস্থ করে দিচ্ছে তাই নয়, সহজেই একজনের থেকে অপরজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন: আগামী ২ ঘণ্টার মধ্যেই ঝাঁপিয়ে নামবে বৃষ্টি, সতর্কতা জারি তিন জেলায়