নয়া দিল্লি: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির। তাঁর সম্মানের মঙ্গলবার ভারতজুড়ে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভারত ব্যাপী যে ভবনগুলিতে সাধারণত জাতীয় পতাকা ওড়ে, সেই সব ভবনের মাথায় জাতীয় পতাকাগুলি অর্ধনমিত অবস্থায় থাকবে। রাষ্ট্রীয় শোক চলাকালীন কোনও সরকারি বিনোদনও সম্প্রচারিত হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, “প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে, ২১ মে মঙ্গলবার, সারা ভারতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শোকের দিনে, ভারত জুড়ে সমস্ত ভবনগুলিতে যেখানে যেখানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা ওড়ে, সেখানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেদিন কোনও সরকারি বিনোদন থাকবে না।”
সোমবার বিকেলে, আজারবাইজান-ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় এক পার্বত্য অঞ্চলে ভেঙে পড়েছিল ইরানের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার। তারপর বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান অভিযান চলে। প্রতিবেশি দেশ তুরস্কের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। ভারী বৃষ্টির মধ্য কয়েক ঘণ্টা ধরে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর, হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। সোমবার সকালে, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রাইসি, সেই দেশের বিদেশ মন্ত্রী হোসেন আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে ‘কেউ বেঁচে নেই’। সেখানে ‘প্রাণের কোনও চিহ্ন নেই’।
ইরানের রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, শোকের সময়ে ইরানের পাশে আছে ভারত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার এবং ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে, ইরানের পাশে আছে ভারত।”
রাইসির আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. ইব্রাহিম রাইসি এবং বিদেশ মন্ত্রী এইচ আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের সঙ্গে আমার বহু বৈঠকের কথা মনে পড়ছে। অতি সম্প্রতি, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও আমরা বৈঠক করেছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে আমরা ইরানের মানুষের পাশে আছি।”