নয়া দিল্লি: সামনের ৪০টা দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই ভারতে ফের বাড়তে পারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। মহামারির আগের দুই তরঙ্গের নকশা বিবেচনা করে, বুধবার, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এক সূত্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এর আগে দেখা গিয়েছে কোভিড-১৯-এর নতুন তরঙ্গ পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানার ৩০-৩৫ বাদে ভারতে আঘাত হেনেছে। মহামারির শুরু থেকেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে।”
তবে, সংক্রমণের তীব্রতা অনেক কম হবে বলে আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই সূত্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, নয়া তরঙ্গ দেখা দিলেও মৃত্যুর সংখ্যা এবং হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কম হবে। বর্তমানে চিন, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা। এই প্রেক্ষিতে ভারত সরকার, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য – দুজনেই আলাদা আলাদাভাবে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বেজিং। মূলত করোনাভাইরাসের চারটি বিশেষ স্ট্রেনের জন্য চিনে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। এর মধ্যে বিএফ.৭ সাবভ্যারিয়েন্টের চারটি ঘটনা ভারতে সনাক্ত করা গিয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের মধ্যে ২ শতাংশের যথেচ্ছ কোভিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবারই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এর মধ্যে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে ঊনত্রিশ জন কোভিড ইতিবাচক হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন।