দেশ: করোনা (Corona) আবহে ভারতকে সাহায্য়ের আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা। কথা রাখল তারা। মার্কিন মুলুক থেকে ২,২০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পৌঁছল ভারতে। শুধু তাই নয়, ১০ হাজার পালস অক্সিমিটারও পাঠিয়েছে বাইডেনের দেশ। যেগুলি ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির মধ্য়ে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার এমনই জানাল নীতি আয়োগ (NITI Aayog)।
সোমবার নীতি আয়োগের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ। তারপর আমেরিকা থেকে আসা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও পালস অক্সিমিটারের সংখ্যাও তুলে ধরে তারা। এই টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, এই ২,২০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থেকে কোভিড বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রে যাবে ৩০০টি কনসেনট্রেটর। কর্ণাটক পাচ্ছে ৪০০টি, গুজরাট ৩০০টি, অন্ধ্রপ্রদেশ ৩০০টি এবং ছত্তিসগঢ় পাচ্ছে ৩০০টি করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এছাড়াও তামিলনাড়ু ৪০০টি, কেরল ১৫০টি এবং রাজস্থান পাবে ৫০টি কনসেনট্রেটর।
Together, in the fight against #Covid19 ?
Donations received from SalesForce, #USA include 2,200 Oxygen Concentrators and 10,000 Oximeters, which have been duly allocated to states across India. #IndiaFightsCOVID19 #Unite2FightCorona pic.twitter.com/6SvR6IpEXI
— NITI Aayog (@NITIAayog) May 9, 2021
এছাড়া ১০ হাজার পালস অক্সিমিটারের মধ্যে বাংলা পাচ্ছে ৩৭৪টি। মহারাষ্ট্র পাবে ২,১৪৪টি। কর্ণাটক ১,৩০৮, কেরল ১০৪৮, উত্তর প্রদেশ ৯৭৫, রাজস্থান ৫৯২টি, গুজরাট ৪৬৬টি, অন্ধ্র ৪১৯টি করে পালস অক্সিমিটার পাবে। এছাড়া ছত্তিসগঢ় ৩৮৯টি, তামিলনাড়ু ৩৩৭টি, বিহার ৩৪৭টি, হরিয়ানা ৩২৯, দিল্লি ৩১০, মধ্যপ্রদেশ ২৮৪, তেলেঙ্গানা ২৫৯টি, ওড়িষা ১৯৭, জম্মু-কাশ্মীর ৯৭ এবং অসম পাবে ৮৫টি পালস অক্সিমিটার।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। অতিমারি পরিস্থিতিতে ভারতকে সহায়তার কথা দেন তিনি। এর পর কয়েক দিন আগে ভারতকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: চলবে না ভ্যাকসিনের অপচয়! কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, তাঁর শিকড় রয়েছে ভারতে। তাঁর মায়ের জন্ম ও বড় হওয়া এ দেশেই। সেই ভারতে যেভাবে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে কোভিড পরিস্থিতি, তা হৃদয় বিদারক বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানান, এই সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানো এবং এ দেশের কল্যাণে কাজ করা আমেরিকার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হ্যারিস বলেন, করোনার শুরুতে ভারত আমেরিকাকে খুবই সাহায্য করেছিল, ওষুধ পাঠিয়েছিল। এখন তাদের সাহায্য প্রয়োজন, বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।