নয়া দিল্লি: দেশে ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার জন, যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪.১০ কোটিতে বেড়ে দাঁড়াল। অন্যদিকে দেশে সংক্রমণের হার (Positivity Rate) কিছুটা বেড়েছে। গতকালে যেখানে সংক্রমণের হার ছিল ১৩.৩৯ শতাংশ, আজ তা বেড়ে ১৪.৫০ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হলেও, উদ্বেগ বাড়ছে মৃত্যু হার নিয়ে। দেশে যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৮১ জন, সেখানেই একদিনে সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮৯৩ জনের। গতকাল এই সংখ্যাটি ছিল ৮৭১। অন্যদিকে, সংক্রমণের হারও সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ১৪.৫০ শতাংশে পৌছেছে। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১৬.৪০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হ.উঠেছেন ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৯৪-এ। কমেছে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৩৭। দেশের মোট আক্রান্তের ৪.৯১ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের টিকাকরণ ১৬৫ কোটির গণ্ডি পার করেছে। দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৫ শতাংশ জনগণই করোনা টিকার দুটি ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য টুইট করে এ কথা জানান। টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
সপ্তাহ শেষে মহারাষ্ট্রে সামান্য হলেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৭১ জন। এরমধ্যে ৮৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। বিগত একদিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানান, তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিয়ে সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে।
রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ এখনও ৪ হাজারের গণ্ডিতেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪৮৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। রাজ্যে সংক্রমণের হার ৭.৪১ শতাংশ।
দক্ষিণ ভারতের মধ্যে কেরলে একদিনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৮১২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৪৭। কর্নাটকেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৩৭ জন। রাজ্যে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ৩০ থেকে ৫০-এ বেড়ে দাড়িয়েছে।