নয়া দিল্লি: ভারতের নানাবিধ বৈচিত্র গোটা বিশ্বেই দেশের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। ভারতের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এবার নতুন করে দু’টি সোনার মুদ্রার দুটি সোনার মুদ্রার অন্বেষণকে কেন্দ্র করে নতুন করে আগ্রহ দানা বেঁধেছে। কেন্দ্রীয় সরকার মুঘল আমলে তৈরি দুটি বিশেষ স্বর্ণমুদ্রার জন্য আবার নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাদের মধ্যে একটি স্বর্ণমুদ্রার ওজন ১২ কেজি। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুদ্রা নতুন করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশেষ স্বর্ণমুদ্রা
জানা গিয়েছে, ১২ কেজি ওজনের এই বিশেষ স্বর্ণমুদ্রা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলে তৈরি করা হয়েছিল। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির সাধ করে এই স্বর্ণমুদ্রার নাম রেখেছিলেন কৌকব-ই-তালি। ১ কেজি ওজনের অপর সোনার মুদ্রাটি মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে তৈরি করা হয়েছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ১২ কেজি ওজনের সোনার মুদ্রাটি হায়দরাবাদের নিজামদের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হয়। শেষবার হায়দরবাদের নিজাম অষ্টম মুকাররম জাহের হাতে দেখা গিয়েছিল। প্রাক্তন সিবিআই যুগ্ম অধিকর্তা শান্তনু সেন নিজের বইতে লিখেছিলেন তারা প্রমাণ পেয়েছে সম্রাট জাহাঙ্গির এই ধরনের দুটি মুদ্রা তৈরি করিয়েছিলেন। একটিকে ইরানের শাহের দূত ইয়াদগার আলিকে উপহার দেওয়া হয়েছিল, অপরটি হায়দরবাদের নিজামদের কাছে রয়ে গিয়েছিল। জাহাঙ্গির তাঁর আত্মজীবনী তুজুক-ই-জাহানগিরিতে এই মুদ্রা তৈরির কথা লিখেছিলেন। ২০.৩ সেন্টিমিটার ব্যাসের সোনার মুদ্রাটি আগ্রায় তৈরি করা হয়েছিল
কীভাবে এই মুদ্রা খোয়া গিয়েছিল?
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী হায়দরবাদের নিজাম অষ্টম মুকাররম সুইস ব্যাঙ্কের কাছে নিলামে এটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ইউরোপে ভারতীয় কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছিলেন নিলামকারী হ্যাবসবার্গ ফেল্ডম্যান এসএ জেনেভার হোটেল মোগায় ১১ হাজার ৯২৫ গ্রাম সোনার মুদ্রা নিলাম করেছিলেন। সিবিআই জানিয়েছিল, প্যারিস-ভিত্তিক ইন্দোসুয়েজ ব্যাঙ্কের জেনেভা শাখার মাধ্যমে এই নিলাম করা হয়েছিল।