Deep-Sea Mining: চিনকে হারিয়ে গভীর সমুদ্র খননের লাইসেন্স জিতে নিল ভারত
ভারত মহাসাগরে এক অদৃশ্য যুদ্ধের জয়ে নতুন দিগন্ত খুলল ভারতের সামনে। প্রতিপক্ষ প্রত্যক্ষভাবে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ হলেও, তাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিনও এই যুদ্ধে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল। আর এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে ভারত পেয়েছে মহাসাগরের গভীরে খনিজ আহরণের অনুমতি। একে বলাই যায়, কোবাল্ট ওয়ার।

ভারত মহাসাগরে এক অদৃশ্য যুদ্ধের জয়ে নতুন দিগন্ত খুলল ভারতের সামনে। প্রতিপক্ষ প্রত্যক্ষভাবে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ হলেও, তাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিনও এই যুদ্ধে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল। আর এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে ভারত পেয়েছে মহাসাগরের গভীরে খনিজ আহরণের অনুমতি। একে বলাই যায়, কোবাল্ট ওয়ার।
কী এই যুদ্ধ?
খনিজ উত্তোলন বলতে এতদিন আমরা বুঝতাম মাটির নীচ থেকে খনিজ তোলা। এখন খননযুদ্ধ লেগেছে সমুদ্রের গভীরে। ডিপ সি মাইনিং অর্থাৎ সমুদ্রতলের পাহাড়-গিরি ভেদ করে মূল্যবান খনিজ তোলা। তেল নয়, লক্ষ্য হল কোবাল্ট ও ম্যাঙ্গানিজ। কারণ এগুলো ছাড়া ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল তৈরি সম্ভব নয়। অর্থাৎ, গ্রিন এনার্জির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই ধাতুর উপরেই। মধ্য ভারত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরির পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে বিপুল ভাণ্ডার। শুধু কোবাল্টই আছে প্রায় ১৫ লক্ষ টন। এর সঙ্গে রয়েছে ৩৮ কোটি টন পলিমেটালিক সালফাইডস, যেখানে মিশে আছে সোনা, রুপো, তামা, প্লাটিনাম, দস্তা ও লোহা।
কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের কার্লসবার্গ রিজ, সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান রিজ ও সাউথ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রিজে আগামী ১৫ বছর ধরে ডিপ সি মাইনিং করার অনুমতি মিলেছে ভারতের হাতে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপও অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু তাদের পরিকাঠামো নেই। ধারণা, তারা লাইসেন্স পেলে চিন প্রযুক্তি দিত আর খনিজ ঘুরপথে নিজের দখলে নিত। তবে, সেই পরিকল্পনা এ যাত্রায় ভেস্তে গেল।
ভারতের জন্য এটা এক বড় কৌশলগত জয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন এত সহজে হার মানবে না। ভারত খনন শুরু করলেই নতুন নতুন বাধা তৈরি করতে পারে তারা। তাই ভবিষ্যতের লড়াইও কম চ্যালেঞ্জিং হবে না।
