তিন সপ্তাহ ধরে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, পিছনে কলকাঠি নাড়ছে ‘আর ফ্যাক্টর’ই !

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 30, 2021 | 3:21 PM

R Factor in India: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শীর্ষে পৌঁছেছিল, সেই সময় দেশে আর ভ্যালু ছিল আনুমানিক ১.৩৭। এপ্রিলের শেষ ভাগ থেকে মে মাসের শুরুতে তা কমে দাঁড়ায় ১.১৮-এ।

তিন সপ্তাহ ধরে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, পিছনে কলকাঠি নাড়ছে আর ফ্যাক্টরই !
সংক্রমণ বৃদ্ধির আসল কারণ কী? ছবি: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ক্রমশ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিল দেশে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তা ফের একবার তা উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২৩০ জন, যা বিগত তিন সপ্তাহে সর্বাধিক।

এপ্রিল-মে মাসে যেখানে করোনা  সংক্রমণ ৪ লক্ষের গণ্ডিতে পৌঁছেছিল, সেখান থেকে ৩০ হাজারের নীচে নেমে এসেছিল সংক্রমণ। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি ও কেরলে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হিসাবে আর-ফ্যাক্টর(R Factor)-কেই দায়ী করা হয়েছে।

আর ফ্যাক্টরের মাধ্যমে সংক্রমণ কোন গতিতে এগোচ্ছে, তা বোঝা যায়। বিগত কয়েক সপ্তাহে তা কেরল ও উত্তর-পূর্ব ভারতেই  বেড়েছে আর ফ্যাক্টর। কেরলে বিগত তিনদিন ধরেই ২২ হাজারের বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, যা দেশের দৈনিক আক্রান্তের অর্ধেক। দেশের সক্রিয় রোগীর ৩৭ শতাংশই কেরলের। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বর্তমানে আর ভ্য়ালু ১.১।

আর ভ্যালু (R Value) ০.৯৫ হওয়ার অর্থ হল, প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত গড়ে আরও ৯৫ জনকে সংক্রমিত করেন। যদি আর ভ্য়ালু ১ শতাংশের নীচে থাকে, তবে বোঝা যায় নতুন করে আক্রান্তদের সংখ্যা বর্তমানে সক্রিয় রোগীর তুলনায় কম। এর বিচারেই বলা হয় যে দেশে সংক্রমণ কমছে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শীর্ষে পৌঁছেছিল, সেই সময় দেশে আর ভ্যালু ছিল আনুমানিক ১.৩৭। এপ্রিলের শেষ ভাগ থেকে মে মাসের শুরুতে তা কমে দাঁড়ায় ১.১৮-এ।  মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে আর ভ্য়ালু কমে দাঁড়িয়েছিল ০.৯৮ শতাংশে। জুন মাসেও তা আরও কমে দাঁড়ায় ০.৭৮-এ। কিন্তু জুলাইয়ের শুরু থেকেই তা ফের বাড়তে শুরু করে এবং গত ৩ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে তা ০.৯৫-এ বেড়ে দাঁড়ায়।

ইন্সটিটিউট অব ম্য়াথেমেটিক্যাল সায়েন্সের গবেষক শীতভ্র সিনহা জানান, আর ভ্যালুর হার দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহও সংক্রমণ বৃদ্ধিই পাবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। সেখানের অধিকাংশ রাজ্যেই আর ভ্যালু ১ শতাংশের বেশি।

কেরলে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। অন্যদিকে, কর্নাটকেও বৃহস্পতিবার একলাফে সংক্রমণ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। কেবল বেঙ্গালুরু থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫০৫ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৩৪ কোটি জনগণের মধ্যে ৬৭.৬ শতাংশের দেহে ইতিমধ্যেই করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এখনও অবধি টিকা পেয়েছেন ৪৫.৫৫ কোটি মানুষ। আরও পড়ুন: CBSE 12th Result 2021: করোনাকালে প্রায় ১১ শতাংশ বাড়ল পাশের হার, ছেলেদের টপকে শীর্ষে মেয়েরাই

Next Article