নয়া দিল্লি: ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’। প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আরও কিছুটা বেড়েছে ক্ষুধার জ্বালা। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও কিছুটা পিছিয়ে গেল ভারতের স্থান। ২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার সূচকে (Global Hunger Index) ১০৭ তম স্থানে নেমে গেল ভারত। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশের পিছনে রয়েছে ভারত। এই সূচকে আগের থেকে ৬ ঘর পিছিয়েছে ভারত। ২০২১ সালে বিশ্ব খাদ্য সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১। আর এখন ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭ তম স্থানে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্কোর রয়েছে ২৯.১। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের প্রকাশক ইউরোপের এনজিও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েলথহাঙ্গারহিলফে বিশ্ব ক্ষুধার এই মাত্রাকে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছে। মূলত চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক স্কোর তৈরি করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম নির্ধারক মাপকাঠি হল অপুষ্টি, শিশু স্টান্টিং (Child Stunting), শিশু অপচয় (Child Wasting) ও শিশু মৃত্যু (Child Mortality)। শিশু স্টান্টিং বলতে বোঝায়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের তাদের বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা। আর শিশু অপচয় হল, পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের তাদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন। এই কয়েকটি পরিমাপের নিরিখেই এই সূচক প্রস্তুত করা হয়।
এই ক্ষুধা সূচকে ভারতের উপরে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল ও মায়ানমার। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে তাদের স্কোর যথাক্রমে, ৯৯, ৬৪, ৮৪, ৮১ ও ৭১। এই সূচকে ১ থেকে ১৭ তে থাকা ১৭ টি দেশের স্কোর রয়েছে ৫ এর নীচে। এই ১ থেকে ১৭ এর মধ্যে রয়েছে চিন। ভারতের নীচে রয়েছে আফগানিস্তান, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, হাইতি সহ একাধিক দেশ। এদিকে গিনি, মোজাম্বিক, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া সহ ১৫ টি দেশের ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবে ব়্যাঙ্ক নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ভারতে শিশু অপচয় হার (Child Wasting Rate) ও অপুষ্টির হার খারাপ হয়েছে। তবে দুটি নির্ধারকের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ভারতের। দেশে কমেছে শিশু স্টান্টিং ও শিশু মৃত্য়ু। ২০১৪ সালে ভারতে শিশু স্টান্টিং হার ছিল ৩৮.৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তা হয়েছে ৩৫.৫ শতাংশ। আর শিশু মৃত্যু হার কমে হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। যেখানে ২০১৪ সালে শিশু মৃত্যুহার ছিল ৪.৬ শতাংশ।
নয়া দিল্লি: ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’। প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আরও কিছুটা বেড়েছে ক্ষুধার জ্বালা। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও কিছুটা পিছিয়ে গেল ভারতের স্থান। ২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার সূচকে (Global Hunger Index) ১০৭ তম স্থানে নেমে গেল ভারত। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশের পিছনে রয়েছে ভারত। এই সূচকে আগের থেকে ৬ ঘর পিছিয়েছে ভারত। ২০২১ সালে বিশ্ব খাদ্য সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১। আর এখন ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭ তম স্থানে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্কোর রয়েছে ২৯.১। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের প্রকাশক ইউরোপের এনজিও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েলথহাঙ্গারহিলফে বিশ্ব ক্ষুধার এই মাত্রাকে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছে। মূলত চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক স্কোর তৈরি করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম নির্ধারক মাপকাঠি হল অপুষ্টি, শিশু স্টান্টিং (Child Stunting), শিশু অপচয় (Child Wasting) ও শিশু মৃত্যু (Child Mortality)। শিশু স্টান্টিং বলতে বোঝায়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের তাদের বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা। আর শিশু অপচয় হল, পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের তাদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন। এই কয়েকটি পরিমাপের নিরিখেই এই সূচক প্রস্তুত করা হয়।
এই ক্ষুধা সূচকে ভারতের উপরে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল ও মায়ানমার। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে তাদের স্কোর যথাক্রমে, ৯৯, ৬৪, ৮৪, ৮১ ও ৭১। এই সূচকে ১ থেকে ১৭ তে থাকা ১৭ টি দেশের স্কোর রয়েছে ৫ এর নীচে। এই ১ থেকে ১৭ এর মধ্যে রয়েছে চিন। ভারতের নীচে রয়েছে আফগানিস্তান, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, হাইতি সহ একাধিক দেশ। এদিকে গিনি, মোজাম্বিক, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া সহ ১৫ টি দেশের ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবে ব়্যাঙ্ক নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ভারতে শিশু অপচয় হার (Child Wasting Rate) ও অপুষ্টির হার খারাপ হয়েছে। তবে দুটি নির্ধারকের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ভারতের। দেশে কমেছে শিশু স্টান্টিং ও শিশু মৃত্য়ু। ২০১৪ সালে ভারতে শিশু স্টান্টিং হার ছিল ৩৮.৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তা হয়েছে ৩৫.৫ শতাংশ। আর শিশু মৃত্যু হার কমে হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। যেখানে ২০১৪ সালে শিশু মৃত্যুহার ছিল ৪.৬ শতাংশ।