নয়া দিল্লি : ভারতে টিকাকরণে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই করোনা টিকার ১০০ কোটি ডোজ় দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ৫০ শতাংশেরও বেশি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে ভারতে। সেখানে অন্যান্য দেশগুলি ৪০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের এখন কিছুটা স্বস্তিতেই থাকার কথা। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, কোথাও সংক্রমণ বাড়ছে কিনা, তার উপর নজর রাখা দরকার ভারতের।
চলতি বছরের শেষে প্রতিটি দেশ অন্তত নিজেদের ৪০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কিন্তু অনেক দেশই এই লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেনি। এটা একটা চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন গীতা গোপীনাথ। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী করোনা টিকার ৯৬ কোটি ৭০ লাখ ডোজ় দেওয়া হয়েছে। কোউইনের পরিসংখ্যান বলছে, আজ (বুধবার) করোনা টিকার ৩০ লাখ ২৫ হাজার ডোজ় দেওয়া হয়েছে। আজ যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন। প্রায় ১৬ লাখ ৮০ হাজার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে বুধবার।
গোপীনাথ জানিয়েছেন, “এত বিশাল জনসংখ্যা হওয়া সত্ত্বেও, ভারত ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ করে ফেলেছে। যা নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের একটা ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য গীতা গোপীনাথ এর আগে বলেছিলেন, ভাল টিকা দেওয়ার হারের উপরেও অর্থনীতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার টিকাকরণের ছবিটিও তিনি তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকাকরণ নিয়ে একটি দ্বিধার পরিস্থিতি রয়েছে এবং এটি মার্কিন মুলুকের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে।
এদিকে গতকালই আরও একটি সুখবর জানিয়েছে কেন্দ্র। এবার ছোটদের ভ্য়াকসিনেও মিলল ছাড়পত্র। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়ার জন্য কোভ্যাক্সিনকে (Covaxin) ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই ছোটদের ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষায় ছিল আসমুদ্রহিমাচল।
এই ঘটনা রীতিমতো দেশের জন্য স্বস্তির খবর। ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (Drug Controller General of India) সূত্রের খবর, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়ার জন্য় এই টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগেই ছোটদের দেওয়ার জন্য জ়াইকোভ ডি (ZyCov- D) ও কোভ্যাক্সিনকে ড্রাগ কন্ট্রোলের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বেশ কিছুদিন থেকই জ়াইকোভ ডি ভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়া হবে এমন খবর সামনে এসেছিল। কিন্তু আখেরে বাজিমাৎ করে নিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।
আরও পড়ুন : Intercity Electric Bus: বৈদ্যুতিন বাসে নতুন বিপ্লব, সীমিত গণ্ডি পেরিয়ে ছুটবে এক শহর থেকে অন্য শহরে