India summons US diplomat: মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে ভারত বুঝিয়ে দিল, নাক গলালে মুশকিল আছে

Mar 27, 2024 | 4:48 PM

India summons US diplomat: বুধবার (২৭ মার্চ), বিকেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন, গ্লোরিয়া বারবেনাকে ডেকে পাঠায় বিদেশ মন্ত্রক। ৪০ মিনিট ধরে বারবেনার সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়, "অস্বাস্থ্যকর নজির এবং অযৌক্তিক অভিপ্রায়ে"র বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সতর্ক করা হয়েছে।

India summons US diplomat: মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে ভারত বুঝিয়ে দিল, নাক গলালে মুশকিল আছে
বিদেশ মন্ত্রকে প্রবেশের সময় মার্কিন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন, গ্লোরিয়া বারবেনা
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে, গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে নাক গলানোর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল নয়া দিল্লি। এই বিষয়ে আপত্তি জানাত বুধবার (২৭ মার্চ), বিকেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন, গ্লোরিয়া বারবেনাকে ডেকে পাঠায় বিদেশ মন্ত্রক। ৪০ মিনিট ধরে বারবেনার সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়, “অস্বাস্থ্যকর নজির এবং অযৌক্তিক অভিপ্রায়ে”র বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সতর্ক করা হয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, “প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত, অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। গণতান্ত্রিক দেশগুলির ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব আরও বেশি। অন্যথায় অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন হতে পারে। ভারতে এক স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে র আইনি প্রক্রিয়াগুলি চলে। উদ্দেশ্যমূলক এবং সময়োপযোগী রায় দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই বিচারব্যবস্থা। তার উপর আপত্তি জানানো অযৌক্তিক।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, অরবিন্দ কেজরীবালের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদনগুলির উপর তারা নজর রাখছে। তিনি আরও বলেন, কারাবন্দী আম আদমি পার্টি প্রধান যাতে ন্যায্য এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়ার সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে নয়াদিল্লিকে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এদিন, মার্কিন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন, গ্লোরিয়া বারবেনাকে ডেকে, এই মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানাল ভারত।

এর আগে, জার্মান পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকেও কেজরীবালকে ন্যায্য ও নিরপেক্ষ বিচার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ভারত সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, তলব করেছিল জার্মান রাষ্ট্রদূতকে। জার্মান বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্যকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ বলে চিহ্নিত করেছিল তারা। জার্মান বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের ওই মন্তব্য, ভারতের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের সামিল বলে জানিয়েছিল ভারত। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা। জার্মানির বিরুদ্ধে ভারতের এই প্রতিবাদ সম্পর্কে অবশ্য় কোনও মন্তব্য করতে চাননি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র।

গত ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরীবালের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ওইদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে ইডির হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে একজন মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে ইডি।

Next Article