জেনেভা: গমের রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আর তারপরই সরব হয়েছে একাধিক দেশ। বিশেষ করে পশ্চিমী দেশগুলি ভারত থেকে গম আমদানি করায়, এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল তারা। এবার পশ্চিমী দুনিয়াগুলিকে পাল্টা জবাব দিল ভারত। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গমের বন্টন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। করোনা টিকার মতো গমের বন্টনের ক্ষেত্রেও যাতে অসাম্য না হয় এবং অযৌক্তিকভাবে খাদ্যপণ্যে যাতে দাম না বাড়ানো হয়, সেই দাবিও জানায় ভারত।
বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে আমেরিকা “গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি কল টু অ্যাকশন” বিষয় নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে। এই বৈঠকেই ভারত খাদ্যপণ্য মজুত নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন বলেন, “নিম্ন আয়ের সমাজ আজ একদিকে যেমন ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও খাদ্যশস্যের অভাবের মুখে পড়েছে। এমনকি ভারতের মতো দেশ, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে, সেখানেও খাদ্যশস্যের দাম অযৌক্তিকভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা স্পষ্ট যে শস্য মজুত করা হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।”
উল্লেখ্য়, গত সপ্তাহেই শুক্রবার ভারত গম রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। খাদ্য়শস্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিগত এক বছরে গম ও আটার দাম ১৪ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহেই জানানো হয় যে, কেন্দ্রের অনুমতির ভিত্তিতেই গম রফতানি করা হবে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি জানান যে, বিশ্বজুড়েই গমের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এর জেরে খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী ও অন্যান্য গরিব দেশগুলি চরম সঙ্কটে পড়েছে। যাতে এই সঙ্কট দ্রুত মিটিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়। তিনি বলেন, “যে সমস্ত দেশগুলিতে খাদ্যসঙ্কট দেখা গিয়েছে, তাদের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য়শস্য রফতানি করা হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের অনুরোধের ভিত্তিতে রফতানি করা হবে।”