নয়া দিল্লি: টেলিকম নীতি ও বিধান নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য ভারতকে ২০২৩ সালের গভর্নমেন্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিল জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন বা জিএসএমএ। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হল জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্বের ৭৫০টিরও বেশি মোবাইল অপারেটর জিএসএমএ-র পূর্ণ সদস্য। আরও ৪০০টি মোবাইল অপারেটর সংস্থা, জিএসএমএ-র সহযোগী সদস্য। এদিন, স্পেনের বার্সোলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩-এ এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভারতের এই সাফল্যের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টেলিকম সংস্কারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হল এই জিএসএমএ অ্যাওয়ার্ড। আমরা সবাই সেই সংস্কারের প্রভাব দেখতে পেয়েছি। রাইট অব ওয়ে বা আরওডব্লু (RoW) অনুমতির জন্য আগে ২৩০ দিনের বেশি সময় লাগত। এখন আটদিনে এই অনুমোদন পাওয়া যায়।”
কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী আরও বলেছেন, “এখন ৮৫ শতাংশেরও বেশি মোবাইল টাওয়ারের ছাড়পত্র তাত্ক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত গতিতে ৫জি রোল-আউট হচ্ছে ভারতে। দেশের ৩৮৭টি জেলায় প্রায় এক লক্ষ সাইট রয়েছে। ভারতীয় টেলিকম সেক্টরে নতুন সূর্যোদয় শুরু হয়েছে। সমগ্র বিশ্ব এই বৃদ্ধি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কাঠামোগত এবং পদ্ধতিগত সংস্কার এনেছিল। তারপরে, লাইসেন্সিং সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি সঞ্চার পোর্টাল তৈরি, রাইট অব ওয়ে স্ট্রিমলাইন করা, স্পেকট্রাম সংস্কার, স্যাটেলাইট সংস্কার ইত্যাদির মতো বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া বা সিওএআই (COAI)-এর ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডা. এসপি কোছার বলেছেন, জিএসএমএ’র ‘গভর্নমেন্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ মোবাইল সংযোগের জন্য সঠিক নিয়ন্ত্রক নীতি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বমানের নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও আইটি মন্ত্রী, যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, টেলিকম সচিব, সেইসঙ্গে সমগ্র টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটিকে তাদের নেতৃত্ব এবং সমর্থনের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। এই খবর ভারতের টেলিকম শিল্পকে ব্যাপকভাবে উত্সাহিত করবে।”