নয়াদিল্লি: মন্ত্রিসভার সুপারিশ গ্রহণ করতে বাধ্য রাজ্যপাল। এবং রাজ্যপাল যদি কোনও ব্যাপারে তথ্য চান, তা তাঁকে দেওয়া মন্ত্রিসভার কর্তব্য। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পঞ্জাব সরকার এবং পঞ্জাবের রাজ্যপালের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত সে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন ৩ মার্চ থেকে শুরু করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ পঞ্জাবের আপ সরকারের। সেই বিষয়টি নিয়েই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পঞ্জাব সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই এই কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সম্পর্কের অবনতি হওয়া শুরু হয়। পুরোহিত গত সপ্তাহে বাজেট অধিবেশন শুরু জন্য তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে বলেছিলেন। পাশাপাশি রাজভবনের পাঠানো চিঠির ‘অবমাননাকর’ উত্তর দেওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে বলেছিলেন। এর পর থেকেই শুরু হয়চ দ্বন্দ্ব। এর আগে ৩ মার্চ থেকে বাজেট পেশের জন্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্যপালের হয়ে লড়ছিলেন সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতা। তিনি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে জানান, পঞ্জাব সরকারের আবেদন টিকবে না। কারণ বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই মামলার প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, “সাংবিধানিক কাজকর্ম পরিচালনায় পরিণত রাষ্ট্রকর্তার মতো আচরণ করতে হবে।” আদালত আরও জানায়, রাজ্যপালের চেয়ে পাঠানো তথ্য সময়ে দেওয়া পঞ্জাব সরকারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। একই সঙ্গে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য মন্ত্রিসভার প্রস্তাব মানতে বাধ্য রাজ্যপাল।