Indian Air Force Station: ভারতকে নিয়ে আতঙ্কে China, সেই কারণেই Tajikistan-কে বাধ্য করল Airbase নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে?
Indian Air Force, Tajikistan: আয়নি বিমানঘাঁটি তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর অবস্থান ভারতকে পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত সুবিধা দিত। এটি আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর সংলগ্ন এলাকার কাছে ভারতের 'অপারেশনাল ডেপথ' বাড়াত।

দীর্ঘ দু’দশকের স্ট্র্যাটেজিক উপস্থিতি! তাজিকিস্তানের আয়নি বিমানঘাঁটি থেকে এতদিন অপারেট করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। আর এবার, শোনা যাচ্ছে সেই বিমানঘাঁটি থেকে নিজেদের সামরিক সরঞ্জাম ও কর্মী প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমাদের দেশ। এত দিন এই বিমানঘাঁটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির অন্যতম বড় স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভান্টেজ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি এমন হয় তাহলে তা ভারতের বড় ধাক্কা হতে পারে।
২০০২ সালে, আফগান যুদ্ধের সময় ভারত প্রায় ৭ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে সোভিয়েত আমলের পুরনো এই বিমানঘাঁটিটির আধুনিকীকরণ শুরু করে। ২০১০ সালের মধ্যে তৈরি করা হয় ৩ হাজার ২০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে। যে ধরনের রানওয়ে দিয়ে সুখোই Su-30MKI যুদ্ধবিমান বা ভারী পরিবহণ বিমান ওঠানামা করতে পারে। এই আয়নি বিমানঘাঁটিই ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম বিদেশী এয়ারবেস।
আয়নি ঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব কী ছিল? আয়নি বিমানঘাঁটি তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর অবস্থান ভারতকে পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত সুবিধা দিত। এটি আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর সংলগ্ন এলাকার কাছে ভারতের ‘অপারেশনাল ডেপথ’ বাড়াত। প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় কর্মী এখানে মোতায়েন ছিলেন। এর মধ্যে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের কর্মীরাও ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস আগে তাজিকিস্তান ভারতকে এই ঘাঁটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। এর পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে চিন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চাপ। বেজিং, যাদের সঙ্গে তাজিকিস্তানের ৪৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, তারা এই অঞ্চলে ভারতের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল। অন্যদিকে মস্কো মনে করে, তাদের প্রথাগত প্রভাব বলয়ে বহিরাগত সামরিক উপস্থিতি কাঙ্ক্ষিত নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, আয়নি থেকে ভারত যদি সরে আসে তাহলে মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত প্রভাব কমে যাবে। যখন চিন তার প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং রাশিয়া নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করছে, তখন ভারতের পদক্ষেপ আগামীতে আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নয়াদিল্লির বিকল্প স্ট্র্যাটেজি মধ্য এশিয়ায় তাদের উপস্থিতি আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।
