নয়া দিল্লি: দীর্ঘ আলোচনার পর মিলল ফল। বৃহস্পতিবার, পূর্ব লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংস পিপি-১৫ এলাকা থেকেও সরে যেতে শুরু করল ভারতীয় ও চিনা সেনা সদস্যরা। দীর্ঘদিন এই অঞ্চলে অচলাবস্থা জারি ছিল। একের পর এক সামরিক বৈঠকের পর অবশেষে এদিন এই বিষয়ে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হল যে, ওই বিতর্কিত এলাকা থেকে দুই দেশের সেনাই “সমন্বিত ও পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে”। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনার ষোড়শ দফায়, ভারত-চিন সীমান্তের গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে দুই দেশই সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছিল।
এদিন ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, “আজ, ভারত চিন কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের ষোড়শ দফায় যে মতৈক্যে পৌঁছনো গিয়েছিল, তা অনুসারে, গোগরা-হটস্প্রিংস (পিপি-১৫) এলাকা থেকে সমন্বিত এবং পরিকল্পিত উপায়ে ভারতীয় ও চিনা সৈন্যরা বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে, সীমান্ত এলাকায় যা শান্তির জন্য সহায়ক পদক্ষেপ।”
আগামী সপ্তাহেই উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলনে মুখোমুখি হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সম্মেলনের পাশাপাশি দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে। তার মাত্র কয়েকদিন আগেই এই বিবৃতি এল। যা দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা প্রশমণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চিন সেনার অচলাবস্থা চলছিল। গালওয়ান সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে লাদাখের ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চল। এর আগে প্যাংগং লেক এলাকা থেকেও দুই দেশ সেনা প্রত্যাহার করেছিল।
গত অগস্ট মাসেও, ভারত এবং চিনা সেনাবাহিনী একটি ডিভিশন কমান্ডার-স্তরের বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার আগে, চিনের বায়ুসেনার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে চুশুল সেক্টরে আলোচনা করেছিল দুই পক্ষ। চিনাদের যেকোনও লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল ভারত।