নয়া দিল্লি : প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিনের মধ্য়ে বিবাদ মেটেনি এখনও। যুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ কাটলেও চাপা উত্তেজনা এখনও রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিবাদ মেটাতে এবার আরও একবার সামরিক স্তরের বৈঠকে বসতে চলেছে। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতেই এই বৈঠক করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই এই বৈঠক বসবেন ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা।
১৭ জুলাইয়ের আগে এই দুই দেশ ১৫ বার বৈঠকে বসেছে। কিন্তু একাধিকবার সেনা পর্যায়ের বৈঠকের পরও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর মুখোমুখি হবে ভারত-চিন। শেষ ১১ মার্চ ভারতীয় সেনা ও চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ চারমাস পর আবার বৈঠক হচ্ছে। ২০২০ সালে মে মাসে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তিরক্ষার্থে একাধিক বৈঠক হয়েছিল এই দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু এই বৈঠকটি দীর্ঘ বিরতির পর সংঘটিত হতে চলেছে।
India & China likely to hold 16th round of Corps Commander level talks on July17. India to be represented by Fire&Fury Corps Commander Lt Gen A Sengupta. The meeting would be held with objective of discussing disengagement from friction points along LAC in Eastern Ladakh: Sources
— ANI (@ANI) July 13, 2022
এইদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘১৬ তম বৈঠকে দুই তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিবাদ মেটানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বর্তমান সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র পথ হল দুই তরফে আলোচনা।’ জানা গিয়েছে, এই আলোচনায় ভারতের তরফে উপস্থিত থাকবেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। লাদাখ সীমান্তের চুশল-মলডো বর্ডার পয়েন্টে এই আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগেই সীমান্তে বিবাদ নিয়ে বৈঠক করেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী। জি-২০ সামিটে ইন্দোনেশিয়ার বালিতেই এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক হয়। সেই সময় টুইট করে আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন এস জয়শঙ্কর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারতীয় এবং চিনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরপর থেকে দুই দেশের সীমান্তেই প্রায় অর্ধ শতাধিক সেনা মোতায়েন রয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই দুই দেশের এই সেনা কমান্ডারের পর্যায়ের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।