G20 Meeting in Kashmir: জি২০ বৈঠকের আগে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা পর্যালোচনা সেনার
G20 Meeting in Kashmir: আগামী সপ্তাহেই জি২০ বৈঠক শ্রীনগরে। এই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রায় ২০ টি দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নজর সেনার।
নয়া দিল্লি: আগামী সপ্তাহেই জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করেই সাজো সাজো রব উপত্যকায়। এদিকে এই আবহে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের খোঁজ মিলছে। চলতি মাসেই রাজৌরি সেক্টরে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা সংঘটিত বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৫ জওয়ানের। তাই জি২০ বৈঠকের সময় জম্মু ও কাশ্মীরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বা নিরাপত্তা লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিত করতে সতর্ক কেন্দ্র। বৈঠকের আগেই একাধিক জায়গায় দফায় দফায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনা জওয়ানের যৌথ বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে জি২০ বৈঠকের আঘে ২৭০ কিলোমিটার জম্মু ও কাশ্মীর জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখল সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী।
শ্রীনগরে আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তৃতীয় জি২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে সব জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মুর সেনার হোয়াইট নাইট কর্পস-র তরফে টুইটারে একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যৌথভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।” জি২০ বৈঠকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক বর্যীয়ান আধিকারিক এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সমগ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শ্রীনগর এবং গুলমার্গের চারপাশে বিশেষভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারণ প্রতিনিধিরা এই জায়গাগুলি দিয়ে যাবেন।”
কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী যাতে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে উপত্যকায়, বিশেষত দক্ষিণ কাশ্মীরে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। এক এনআইএ আধিকারিক জানিয়েছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার জন্য কাশ্মীর উপত্যকায় যেসব সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তাদের শাখা সংগঠন রয়েছে তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এদিকে জানা যাচ্ছে, এই মাসের প্রথম দিকেই ৭০ বার তল্লাশি চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত কারও খোঁজ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এদিকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপত্যকায় পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য পাকিস্তান সীমান্তের এপারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উস্কানি দিচ্ছে বলে প্রমাণ মিলেছে। তাই জি২০ বৈঠকের আগে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় তল্লাশি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শ্রীনগরে আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে জি২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই বৈঠক উপত্যকায় পর্যটনের বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। আমেরিকা, কানাডা, চিন ও জাপান সহ ২০ টি দেশের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন।