নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানার পর ইমরান খানকে (Imran Khan) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হয়েছে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ভারতের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন শরিফ। তিনি বলেছিলেন, দুই দেশেই বেকারত্ব, রোজগার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে এবং সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশি দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিৎ। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানের কারণে আলোচনায় সমস্যা হচ্ছে বলেই জানিয়েছিলেন শাহবাজ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জল্পনা ছিল যে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে হয়ত শীঘ্রই আলোচনা হতে পারে। ঘটনাক্রম সেদিকেই এগোচ্ছে। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, জুলাই মাসে তাসখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গ্যানাইজ়েশনের যে সম্মেলন রয়েছে, সেখানেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাৎ হতে পারে। এই নিয়ে প্রতিবেশি দু’দেশের শীর্ষস্তরে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই খবর।
জুলাই মাসের ১৭ তারিখ উজবেকিস্তানের তাসখন্দের এসসিও সম্মলনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা। সম্মেলনের ফাঁকে একান্ত আলোচনার বন্দোবস্ত করা যায় কি না, সেই নিয়ে দুই দেশই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদি দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক বাস্তবায়িত হয়, তবে সম্ভবত পাকিস্তানের কাটাস রাজ মন্দিরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সেখানে থেকে মোদীকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাবেন শরিফ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটারে শরিফকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা শাহবাজ শরিফের দাদা নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন মোদী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী আলোচনার টেবিলে বসলে সেখানে সীমান্তের সেনা পরিস্থিতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ২০১৫ সালে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আচমকাই পাকিস্তানের লাহোরে হাজির হয়েছিলেন মোদী। কিন্তু ২০১৬ সালের পাঠানকোট ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামার ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এখন জুলাই মাসে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্য বৈঠক হলে, সেখানে কী আলোচনা হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।