India’s Fertility Rate: ১৯৫০ সালে ভারতীয় মহিলারা গড়ে ৬টা সন্তান প্রসব করতেন, তা কমে কমে কোথায় দাঁড়িয়েছে জানেন!
India's Fertility Rate: ভারতের জনসংখ্যা এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তবে বৃদ্ধির গতি কমেছে। ২০২১ সালে প্রায় ২ কোটি শিশুর জন্ম হয়েছে ভারতে। কিন্তু,২০৫০ সালে সেই সংখ্যা নেমে আসতে পারে ১.৩ কোটিতে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়েও প্রতি বছর সদ্যোজাতর সংখ্যা কমছে।
নয়াদিল্লি: পিছনে ফেলেছে চিনকে। জনসংখ্যায় এখন বিশ্বের এক নম্বর দেশ ভারত। এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫.৫৬ কোটি। কিন্তু, একজন মহিলার সন্তান ধারণের গড় ক্রমশ কমছে। সেই গড় এখন ২ শতাংশেরও কম। এভাবে কমতে থাকলে ২০৫০ সালে ভারতে একজন মহিলার সন্তান ধারণের গড় নেমে আসবে ১.৩-এ।
১৯৫০ সালে ভারতে একজন মহিলার গড়ে কতজন সন্তান থাকত?
গবেষকরা বলছেন, ১৯৫০ সালে ভারতে একজন মহিলার গড়ে ৬.২ সন্তান থাকত। সেইসময় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ২৫০ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি। তার মধ্যে ভারতের জনসংখ্যাই ১৫০ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু, ভারতে একজন মহিলার সন্তান ধারণের গড় গত কয়েক দশকে অনেকটা কমে এসেছে। এখন তা ২ এর নিচে।
এই খবরটিও পড়ুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের সন্তান ধারণের গড় ২.১ থাকলে তা পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় ঠিক হবে। কিন্তু, সন্তান ধারণের গড় ২ এর নিচে নেমে গেলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর জনসংখ্যা কমতে থাকবে। তবে শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়েই মহিলাদের সন্তান ধারণের গড় কমছে। ২০৫০ সালে বিশ্বে মহিলাদের সন্তান ধারণের গড় নেমে আসবে ১.৮ এ। এবং ২১০০ সালে তা আরও কমে হবে ১.৬।
ভারতের জনসংখ্যা এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তবে বৃদ্ধির গতি কমেছে। ২০২১ সালে প্রায় ২ কোটি শিশুর জন্ম হয়েছে ভারতে। কিন্তু,২০৫০ সালে সেই সংখ্যা নেমে আসতে পারে ১.৩ কোটিতে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়েও প্রতি বছর সদ্যোজাতর সংখ্যা কমছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান ধারণের সংখ্যা কমার সুবিধা ও অসুবিধা-দুটো দিকই রয়েছে। সুবিধা হল খাদ্য, পানীয় আরও বেশি সবার কাছে পর্যাপ্ত পৌঁছবে। সরকারও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক পরিষেবায় আরও বরাদ্দ করতে পারবে। মানুষের জীবনযাপন আরও উন্নত হবে। গবেষণা বলছে, কম সন্তানের জন্ম দেন সেযব মহিলা, তাঁদের আয়ুও গড়ে বেশি হয়। সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাগুলিও উদ্বেগের। সন্তান ধারণের গড় কমে গেলে দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে যুব সমাজের ঘাটতি দেখা যাবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবীণ প্রজন্মকে সমর্থন করতে যুব সমাজের যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে অর্থনৈতিক বৃ্দ্ধি বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।