Gandiva Missile: সুদর্শন চক্রে কচুকাটা পাকিস্তান, এবার ভারতের ক্ষমতা দেখাবে ‘গাণ্ডিব’, এখন থেকেই বুক দুরুদুরু শত্রুদের
Indian Defense System: ভারতের অত্যাধুনিক SFDR (Solid Fuel Ducted Ramjet) প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন প্রজন্মের এয়ার টু এয়ার মিসাইল হল BVRAAM (Beyond Visual Range Air-to-Air Missile) এই গাণ্ডিব।

নয়া দিল্লি: মাস খানেক আগেই যখন উত্তপ্ত ছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, তখন পাকিস্তানের ছোড়া সমস্ত মিসাইল থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছিল সেনাবাহিনীর ‘সুদর্শন চক্র’। শত্রুর শেষ নেই, সম্প্রতি এই সংঘাতের পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তা আরও ভালভাবে বোঝা গিয়েছে। আর এবার সেনার হাত শক্ত করতেই আসছে গাণ্ডিব।
৩৫০ কিমি রেঞ্জের ‘গাণ্ডিব’ ক্ষেপণাস্ত্রের এবার লাইভ-ফায়ার ট্রায়াল হতে চলেছে। একে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশারদরা মনে করছেন, আকাশযুদ্ধে অন্যতম গেমচেঞ্জার হতে চলেছে গাণ্ডিব। চিনা PL-17-এর জবাবে ভারতীয় অস্ত্র হচ্ছে গাণ্ডিব বা এমকে-৩ (Mk-III)।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ভারতের অত্যাধুনিক SFDR (Solid Fuel Ducted Ramjet) প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন প্রজন্মের এয়ার টু এয়ার মিসাইল হল BVRAAM (Beyond Visual Range Air-to-Air Missile) এই গাণ্ডিব।
এই মিসাইলটির পরিসর বা পাল্লা (রেঞ্জ) প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। ইউরোপীয় মিটিওর (Meteor), যার পাল্লা ২০০ থেকে ২৫০ কিমি অথবা চিনা পিএল-১৫ (PL-15), যার পাল্লা ২০০ থেকে ২৫০ কিমি, তার থেকেও অনেক বেশি ভারতীয় এই মিসাইলের পাল্লা। এটি কেবল ভারতের নয়, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ রেঞ্জের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বলে পরিচিত হতে চলছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, গাণ্ডিবের প্রাথমিক ট্রায়াল সম্পূর্ণ। এবার চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চলেছে সেনার নতুন অস্ত্র। বর্তমানে গাণ্ডিব ক্ষেপণাস্ত্রের সুখোই – ৩০ তে প্ল্যাটফর্মে ক্যাপটিভ ক্যারেজ ইনটিগ্রেশন ট্রায়াল চলছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সুখোই – ৩০ যুদ্ধবিমানে যুক্ত হওয়ার কাজ চলছে। সেখানেই যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ইন্টারফেরেন্স।
যদি পরীক্ষা সফল হয়, তবে বিশ্বের প্রথম তিনটি এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের মধ্যে চলে আসবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
এটা ভারতের সরাসরি জবাব চিনা PL-17 এর বিরুদ্ধে, যেটি চিন তাদের J-20 স্টিলথ ফাইটারে সংযুক্ত করছে।
এত কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি:
সুপার-এগাইল টার্মিনাল ম্যানুভারিং: শেষ মুহূর্তে শত্রুর কৌশলী চালও ব্যর্থ করতে পারে।
SFDR ইঞ্জিনের মাধ্যমে জেট থ্রাস্ট প্রযুক্তি দ্বারা মিসাইলটিকে উচ্চতর গতি ও দীর্ঘ রেঞ্জে পরিণত করেছে।
AESA হোমিং বা নিজস্ব একটিভ রেডার সিকার। যা টার্গেটকে কোন বাধা ছাড়াই ধাওয়া করতে সক্ষম।

