হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে (Hyderabad Gang Rape Case) চাঞ্চল্যকর মোড়। জানা গিয়েছে, সাদা রঙের যে ইনোভা গাড়িতে গণধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, সেই গাড়ি মালিকের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এই ধর্ষণের ঘটনায় ৪ নাবালক সহ প্রধান অভিযুক্ত ৬ জনকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত একজন পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সাদা রঙের ওই ইনোভা গাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল। একটি ফার্ম হাউস থেকে সাদা রঙের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, যে মহিলার বাড়িতে সাদা ওই ইনোভা গাড়িটি রাখা ছিল, সেই মহিলা একটি রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, যে ইনোভা গাড়িতে ধর্ষণের মতো মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটি সরকারি গাড়ি। ওয়াকফ বোর্ডের শীর্ষপদে থাকা এক ব্যক্তি ওই গাড়িটি ব্যবহার করেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধের সময় লাল মার্সিডিজ এবং সাদা ইনোভা, দুটি গাড়িই কোনও একজন নাবালক চালাচ্ছিলেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, গণধর্ষণের ঘটনায় লাল রঙের যে মার্সিডিজ গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি তেলঙ্গনার এক বিধায়কের। ধর্ষণের সময়, ওই গাড়িতে প্রধান অভিযুক্তের উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই বিধায়ক। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যু্ক্ত এবং যথেষ্ট প্রভাবশালী।
১৭ বছর বয়সী কোনও এক নাবালিকা ২৮ মে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে একটি ছেলের দেখা হয়েছিল। ছেলেটি এবং তাদের বন্ধুদের সঙ্গে নাবালিকা মেয়েটিকে ক্লাব থেকে বাইরে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল যে ওই তাঁরা মেয়েটিকে লাল মার্সিডিজে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল। ক্লাব করে মার্সিডিজ করে রওনা দেওয়ার পর একটি ক্যাফের সামনে গাড়ি বদলে ওই সাদা ইনোভা গাড়িতে ওঠে সকলে। তারপরই ওই নাবালিকাকে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং ইনোভা গাড়ির মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপরই গাড়িটিকে হায়দরবাদের বাঞ্জারা হিলসে রেখে দেওয়া হয়। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে আবার ওই ক্লাবের সামনে ছেড়ে দেওয়া হয়।