অশান্তির সংকেতে বন্ধ ইন্টারনেট! মাথা ফাটানো হুঙ্কারের পরোয়া না করেই কাল কারনালে কৃষক মহাপঞ্চায়েত

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 06, 2021 | 7:33 PM

Farmer Protest : আগামিকাল মধ্যরাত পর্যন্ত কারনালে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনোহর লাল খট্টরের পুলিশ।

অশান্তির সংকেতে বন্ধ ইন্টারনেট! মাথা ফাটানো হুঙ্কারের পরোয়া না করেই কাল কারনালে কৃষক মহাপঞ্চায়েত
ফাইল ছবি

Follow Us

কারনাল : ২৮ অগস্ট। আর তারপর ৭ সেপ্টেম্বর। আগামিকাল ফের একবার সবার নজর থাকবে কারনালের দিকে। গতমাসের ২৮ তারিখ এখানেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। আগামিকাল ফের একবার সেই কারনালেই আয়োজিত হতে চলেছে কৃষক মহাপঞ্চায়েত। আর তার আগে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ হরিয়ানা সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারনালের ইন্টারনেট পরিষেবা। আগামিকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনোহর লাল খট্টরের পুলিশ।

শুধু ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করাই নয়, গোটা এলাকাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাল মহাপঞ্চায়েত ছাড়াও মিনি সেক্রেটারিয়েট ঘেরাও করার পরিকল্পনা রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির।

এই পরিস্থিতিতে যাতে ২৮ অগস্টের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও না হয়, তা নিশ্চিত করতে কারনাল জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা (২জি, ৩জি,৪জি, সিডিএমএ এবং জিপিআরএস) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে এসএমএস পরিষেবা। ইন্টারনেটের জন্য ডঙ্গেলও ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র ভয়েস কল ছাড়া বাকি সবকিছু আগামিকাল মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আম্বালা-দিল্লি সংযোগকারী রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) নবদীপ সিং ভিরক সজাগ নজর রাখছেন প্রতিটি খুঁটিনাটির দিকে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে কারনাল রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং জেলা সুপারদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নবদীপ সিং ভিরক জানিয়েছেন, আম্বালা-দিল্লি সংযোগকারী ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আগামিকাল বেশ কিছু জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। যাঁরা প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন, তাঁদের অন্য কাল বিকল্প রাস্তাগুলি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

২৮ অগস্ট হরিয়ানার কারনালে একটি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। সেই বৈঠক ঘিরেই প্রতিবাদ করছিলেন কৃষকরা। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রাখলেও বৈঠক ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাতেই ঘটনাস্থানে আসেন কর্নলের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আয়ুষ সিনহা। সেখানেই তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে পুলিশকে নির্দেশ দেন, কৃষকরা যেন কোনওমতেই ব্যারিকেড টপকে এগোতে না পারে।

ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “খুব সোজা কথা বলছি। যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন, কাউকে যেন এই ব্যারিকেড টপকে ভিতরে আসতে না দেওয়া হয়। কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করতে হবে না, হাতে লাঠি নিন এবং মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন। আমি যদি একজন আন্দোলনকারীকেও দেখতে পাই, তবে তার মাথা যেন ফাটিয়ে দেওয়া হয়।”

এই মন্তব্যের পরই আয়ুষ সিনহাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর মন্তব্যের সমালোচনা করলেও পরোক্ষে ওই সরকারি কর্মচারীকেই সমর্থন জানান। সাংবাদিক বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, “ওই অফিসারের শব্দচয়ন ভুল হলেও রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ করতেই হবে।” আরও পড়ুন : কর্নলে কৃষক সভার আগেই জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা, মহাপঞ্চায়েতের পিছনে কি রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও?

Next Article