আগরতলা: বঙ্গে রেকর্ড ব্যবধানে জয়লাভ করার পর তৃণমূলের পরবর্তী লক্ষ্য ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেই মতো পরের বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন থেকেই শুরু হয়েছে ঘুঁটি সাজানোর কাজ। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের বছরখানেক বাকি থাকতেই তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। তবে সেখানে গিয়েই প্রশাসনের বাধার মুখে পড়েছেন ওই সংগঠনের কর্মীরা। সেই অভিযোগ কালীঘাটেও এসে পৌঁছেছে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে।
পিকে-র যদিও দাবি, তিনি বর্তমানে আইপ্যাকের সঙ্গে আর যুক্ত নন। তবে এখনও এই সংস্থা তাঁর নামেই পরিচিত। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং বিজেপি শাসিত বিপ্লব দেব প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, আইপ্যাকের কর্মীরা আগরতলা পৌঁছনর পর তাঁদের হোটেলে আটকে রেখেছে পুলিশ। রবিবার রাত থেকেই তাঁদের হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই সমীক্ষার কাজে ত্রিপুরায় পা রেখেছে আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের একটি দল। কিন্তু তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বেআইনিভাবে আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল পা রাখার আগের ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি।
The fear in @BJP4Tripura before even @AITCofficial stepped into the land, is more than evident!
They are so rattled by our victory in #Bengal that they’ve now kept 23 IPAC employees under house arrest.
Democracy in this nation dies a thousand deaths under BJP’s misrule!
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 26, 2021
তবে এই প্রথমবার নয়, গত ২১ জুলাই শহিদ দিবস কর্মসূচি পালনের সময়ও তৃণমূলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, সেখানকার জায়ান্ট স্ক্রিন অ্যাসোসিয়েশন জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবিরকে। অগত্যা জায়ান্ট স্ক্রিনের বদলে প্রোজেক্টর ও পর্দা লাগিয়েই মমতার ভাষণ সম্প্রচার করতে হয় তৃণমূলকে। এ বার আইপ্যাককেও আটকে রাখার অভিযোগ উঠল বিপ্লব দেব প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ফলে তৃণমূলের মিশন ত্রিপুরা যে খুব একটা সহজ হবে না, সেই ইঙ্গিত কার্যত এখন থেকেই মিলতে শুরু করেছে। আরও পড়ুন: কংগ্রেসের অভিষেক ‘প্রীতি’কে ‘কসাইয়ের ছাগল পোষার’ সঙ্গে তুলনা বিজেপির