নয়া দিল্লি: দেশে ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে বারবার দাবি উঠছে অন্যান্য ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে প্রতিষেধক তৈরির ফর্মুলা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরীও অন্যান্য ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপরই গডকরীকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, “এই প্রস্তাব ডঃ মনমোহন সিং ১৮ এপ্রিল দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার বস কি এসব শুনছেন?”
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে নিতিন গডকরী বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত প্রত্যেক রাজ্যের ২-৩টি ল্যাবে পরিকাঠামো রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তাদের ফর্মুলা দেওয়া উচিত। তারা যদি জোগান দিতে সক্ষম হয়, তাহলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।” নিতিন গডকরীই প্রথম কোনও মন্ত্রী যিনি এহেন আবেদন করেছিলেন। তারপরই টুইটে তাঁকে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
But is his Boss listening? This is what Dr. Manmohan Singh had suggested on April 18th. https://t.co/iqgPgJJ6Y7
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) May 19, 2021
দেশে করোনা টিকাকরণ ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য শুরু হয়েছে ১মে থেকে। কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সরাসরি নির্মাতা সংস্থার কাছ থেকে করোনা টিকা কিনতে পারবে। কিন্তু ভ্যাকসিন সঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যে শ্লথ হয়েছে টিকাকরণের গতি। দেশে স্রেফ ৪ কোটি মানুষ টিকার ২ ডোজ় পেয়েছেন। ১০ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। টিকার এই ব্যাপক সঙ্কটের জন্য বারবার বিরোধীরা নিশানা করছে কেন্দ্রকে। যদিও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র যথাসম্ভব চেষ্টা করছে।
তবে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, জুলাইয়ের মধ্যে ৫১.৬ কোটি টিকা দেশের মানুষ পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ২০০ কোটি ডোজ় উপলব্ধ হবে।
আরও পড়ুন: কেজরীবাল ভারতের মুখপাত্র নন, ‘মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন’, ভ্যারিয়েন্ট বিতর্কে পাল্টা কেন্দ্রের