ISRO Mission: তৈরি পে-লোড, চাঁদ-সূর্যের পর এবার কোন মিশনে নামছে ইসরো?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 28, 2023 | 12:08 PM

S Somnath: মঙ্গলবার ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, শুক্র অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ শুক্রে পৌঁছতে চায় ইসরো। তিনি জানান, শুক্র অভিযানে যে পে-লোডগুলি ব্যবহার করা হবে, সেগুলি ইতিমধ্যেই তৈরিও করা হয়ে গিয়েছে।

ISRO Mission: তৈরি পে-লোড, চাঁদ-সূর্যের পর এবার কোন মিশনে নামছে ইসরো?
ফাইল চিত্র
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: ‘ব্লকবাস্টার’ চন্দ্রযান-৩ অভিযান। ‘সুপারহিট’ সূর্য অভিযানও। একের পর এক সাফল্য পেলেও, লক্ষ্য থেকে সরছে না ইসরো। চন্দ্রাভিযান, সূর্যাভিযানের পর ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে পরবর্তী মিশনের। এমনটাই জানালেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ (S Somnath)। দিল্লির ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে তিনি জানান, এবার ইসরোর লক্ষ্য হল শুক্র অভিযান (Venus Mission)। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, শুক্র অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ শুক্রে পৌঁছতে চায় ইসরো। তিনি জানান, শুক্র অভিযানে যে পে-লোডগুলি ব্যবহার করা হবে, সেগুলি ইতিমধ্যেই তৈরিও করা হয়ে গিয়েছে।

কী লক্ষ্য হবে শুক্র অভিযানের?

সূর্যের থেকে দূরত্বের বিচারে শুক্র দ্বিতীয় নিকটতম গ্রহ। ইসরো প্রধান জানান, এই মিশনের মূল লক্ষ্য হবে শুক্র গ্রহের মাটি ও বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করা। শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত ভারী এবং তা অ্যাসিডে ভর্তি। শুক্রের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাই এই গ্রহে কোনও অভিযান চালানো কষ্টসাধ্য। তবে সেই চ্য়ালেঞ্জই গ্রহণ করতে চায় ইসরো।

ইসরো প্রধান বলেন, “আমাদের একাধিক অভিযান পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। শুক্র অভিযান ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করে ফেলা হয়েছে। এর পে-লোডগুলিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুক্র অত্যন্ত আগ্রহপূর্ণ একটি গ্রহ। ওই গ্রহেও বায়ুমণ্ডল রয়েছে, কিন্তু তা অত্যন্ত ভারী। পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ গুণ ভারী শুক্রের বায়ুমণ্ডল। আমরা জানি না শুক্র গ্রহের মাটি খনন সম্ভব কি না। একদিন পৃথিবীর অবস্থাও শুক্রের মতো হতে পারে। হয়তো এখন নয়, কিন্তু ১০ হাজার বছর বাদে পৃথিবী বদলে যেতে পারে। আগে তো পৃথিবীও বসবাসযোগ্য ছিল না। তাই শুক্রের বায়ুমণ্ডল ও মাটি পর্যবেক্ষণ করা বেশ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।”

Next Article