নয়া দিল্লি: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার (Cash for Query) মামলায় মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি (Ethics Committee)। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলেই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি তোলা হবে, এমনটাই সূত্রের খবর। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। শুধুমাত্র দুবাই থেকেই নয়, আরও তিন জায়গা থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় ইমেইল আইডি।
সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্রের সংসদীয় ইমেইল আইডি দুবাই ছাড়াও আমেরিকা, নিউ জার্সি ও বেঙ্গালুরু থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কী দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি ছাড়া আরও এক বা একাধিক ব্যক্তির কাছে তৃণমূল সাংসদের সংসদীয় ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছিল? এই প্রশ্নও উঠছে।
ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রেই জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রের ইমেইল আইডি। তৃণমূল সাংসদ যখন কলকাতায় ছিলেন, তখন তাঁর সংসদীয় ইমেইল আইডি নিউ জার্সি ও বেঙ্গালুরু থেকে খোলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি সংসদীয় ইমেইলের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, সংসদে করা প্রশ্নগুলি তাঁরই হত, হিরানন্দানির অফিসের কেউ শুধুমাত্র প্রশ্নগুলি টাইপ করে দিতেন।
এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রের এই কাজকে অসংসদীয় কাজ বলেই উল্লেখ করেছে এবং তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে।
প্রসঙ্গত, গতকালই নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার মহুয়া ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। বিজেপিকে দুষে তিনি বলেন, “ওদের এখন পরিকল্পনা হল মহুয়াকেও তাড়িয়ে দেওয়া। আরে তাতে তো ও-ই জনপ্রিয় হয়ে যাবে তিন মাসের জন্য। যেটা ভিতরে বলত, সেটা বাইরে বলবে। রোজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বাইরে বলবে। হয়ে গেল! কী যায় আসে এসবে। মূর্খ না হলে কেউ ভোটের তিন মাস আগে এ জিনিস করে?”