নয়া দিল্লি: ঘরে ফিরলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার। দলের নেতাদের থেকে খারাপ আচরণ পেয়েছেন, অভিযোগ করে গত বছরই বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি। দল ছাড়ার পরই কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। সেটা ছিল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থীও করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, রাজ্য জুড়ে কংগ্রেসের হাওয়ার মধ্যেও বিজেপির কাছে হেরেছিলেন জগদীশ। তারপর এক বছরও যেতে না যেতেই, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিজেপিতে ফের যোগদান করলেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁর দলে ফেরার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন খোদ অমিত শাহ। এদিন দিল্লিতে দলীয় সদর দফতরে, কর্নাটক বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিরাপ্পার উপস্থিতিতে ফের বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন জগদীশ শেত্তার।
দলে যোগ দেওয়ার পর, তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপর চার নেতা বৈঠকে বসেন। তার আগে পুরোনো দলে ফেরার বিষয়ে জগদীশ শেত্তার বলেন, “নরেন্দ্র মোদীজিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্য়েই আমি ফের দলে যোগ দিচ্ছি। কিছু সমস্যার জন্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম। গত আট বা নয় মাসে অনেক আলোচনা হয়েছে। বিজেপি কর্মীরা আমাকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেছিলেন। ইয়েদুরপ্পাজি এবং বিজয়েন্দ্রজিও চেয়েছিলেন যে আমি ফিরে আসি। তাই আমি আবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।”
জগদীশ শেত্তার অবশ্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কট্টর অনুগামী। তাই তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়াটা বেশ বেমানান ছিল। তবে, গত বছরের কর্নাটক নির্বাচনে টিকিট না পেয়েই তিনি এই পদক্ষেপ করেছিলেন। দলে ফেরার পর, ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, “আমরা তাঁকে রাজ্যসভার সদস্যপদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে চাই। অমিত শাহ নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি মনে করি তিনি চলে গিয়ে ভুল করেছিলেন। আমরা সবসময় তাঁকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছি।”
বুধবারই অবশ্য জগদীশ শেত্তারের বিজেপিতে ফিরে আসার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার বলেছথিলেন, “অনেক বিজেপি নেতাই এখন কংগ্রেস থেকে শেত্তারকে দলে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। এটা দুর্বলতার লক্ষণ। হতাশা থেকে তারা এটা করছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের দেওয়ার মতো প্রার্থী নেই ওদের।” এদিন শেত্তার সত্যি সত্যি বিজেপিতে ফেরার পর অবশ্য এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। বস্তুত, জগদীশ শেত্তার কর্নাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের একজন একজন প্রভাবশালী নেতা। এই সম্প্রদায়ই রাজ্য রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই, তাঁর বিজেপিতে ফেরা, লোকসবার আগে অবশ্যই গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে।